নয়াদিল্লি: শশী থারুর (Shashi Tharoor) এবং ৬ জন সাংবাদিককে (Journalist) এখনই গ্রেফতার করতে পারবে না। জানালো তদন্তকারী সংস্থাই। প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day) দিন ট্রাক্টর মিছিলে (Tractor Rally) মৃত কৃষক (Faarmer)নিয়ে টুইট (Tweet) করার জন্য শশী থারুর এবং ৬ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে একাধিক রাজ্যে জমা পড়েছিল অভিযোগ। এই বিষয়েই সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) জানিয়ে দিল, দুসপ্তাহ পর মামলার শুনানি হবে, তার আগে যাবে না এদের কাউকে গ্রেফতার করা।
এই বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মুক্তির বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে সরাসরি আইনজীবী তুষার মেটা প্রাথমিকভাবে আদালতে আবেদন করেন, পাশাপাশি আবেদন জানান বুধবার পর্যন্ত শুনানি স্থগিত রাখার। থারুরদের পক্ষের আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, সুপ্রিম কোর্টের মামলা যাওয়ার পর তদন্তে কোনো প্রমাণই পাওয়া যায়নি।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowশশী থারুর সহ ৬ জন সাংবাদিক, প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন মিছিলের সময় দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন ফলে তাদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতা, বৈরিতাকে ইন্ধন দেওয়া ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ওঠে।
শশী থারুর, রাজদীপ সরদেশাই, মৃণাল পাণ্ডে-সহ আরও কয়েক জনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দায়ের করা হলে, পরে সেই বিষয়ে গ্রেফতারি এড়াতে শীর্ষ আদালতে তারা আবেদন করেন এবং পরবর্তীকালে মঙ্গলবার আদালতের তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ শুনানিতে জানিয়ে দেয়, ‘‘আমরা বিশেষ একটি নির্দেশ জারি করছি, যা কোনো রকম সমস্যা সৃষ্টি করবেনা। এখনই তাঁদের গ্রেফতার করতে পারবে না কোনও তদন্তকারী সংস্থা।’’
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের পরেই এডিটর্স গিল্ডের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়, ‘সাংবাদিকরা নিজের টুইটারে বা প্রকাশনায় এক কৃষকের মৃত্যু নিয়ে মত প্রকাশ করেছিলেন বলেই তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ঘটনার দিন অকুস্থলে অনেক সাংবাদিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা ছিলেন, তাঁদের দেওয়া বয়ানের ভিত্তিতেই একাধিক তথ্য প্রকাশ করা হয়েছিল। তথ্য অনুযায়ী তা প্রকাশিত হয়। এটাই সাংবাদিকদের নিজস্ব কাজের পদ্ধতি’। এক কথায়, সাংবাদিকদের সমর্থনে ছিল এডিটর্স গিল্ড।