নিউজরাজ্য

চলছে বাজির বিক্রি, স্পষ্ট নয় ছটপুজোকে ঘিরে রাজ্যের পরিকল্পনা, প্রশ্ন উঠছে পুলিশ-প্রশাসনের দিকে

Advertisement
Advertisement

বাজি নিয়ে এখনও রাজ্যে মেনে চলা হচ্ছে হাইকোর্টের রায়। সোমবার জাতীয় পরিবেশ আদালত হতে বায়ু পরিচ্ছন্নতার কথা মাথায় রেখে কিছু এলাকায় বাজি বিক্রির ছাড়পত্র এবং তা পড়ানোর জন্য দুই ঘণ্টা বরাদ্ধ করেছে। তবে তা রাজ্যের ওপর প্রযোজ্য হবে না বলে সূত্রের খবর। এইদিন রাজ্য পরিবেশ দপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেন,”জাতীয় পরিবেশ আদালত হতে হাইকোর্টের রায় সংশোধন সম্ভব নয়। তাছাড়া, পরিবেশ আদালতের রায়ের ক্ষেত্রেও হাইকোর্টের রায়কে দৃষ্টান্ত মনে করা হয়েছে। পরিবেশ আদালত হতে বলা হয়েছে যে, তাদের রায়ের পরে কোনও রাজ্যে নিজের ইচ্ছেতে আরও কঠোরভাবে বায়ুদূষণ প্রতিরোধ করতে পারে। তাই এই রাজ্য হাইকোর্টের রায়কেই চূড়ান্ত মেনে এগোচ্ছে।”

Advertisement
Advertisement

 

Advertisement

তবে এই সাথে প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনের সক্রিয়তার ওপর। বারবার প্রশ্ন উঠছে প্রশাসন বাজি দমনে কতটা সক্ষম সে বিষয়ে। এই বিষয়ে সবুজ মঞ্চের সম্পাদক নব দত্ত বলেন,”পরিবেশ দপ্তর থেকে হাইকোর্টের নির্দেশের পরে এখনও কোনো নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। এটা খুবই লজ্জার বিষয়। পুলিশ প্রশাসনও সেভাবে বাজি দমনে কাজ করছেনা। তাই বাজি আগের মতোই খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে। বাজি কারখানাগুলিকেও কোনো নির্দেশ দেয়নি প্রশাসন। তাই স্বাভাবিক ভাবেই চলছে কারখানাগুলি।” ইতিমধ্যেই বাজি ও বায়ুদূষণকে ঘিরে বিস্তারিত লিখে প্রশাসনকে চিঠি পাঠানো হয়েছে সবুজ মঞ্চের পক্ষ থেকে।

Advertisement
Advertisement

 

পরিবেশ দপ্তর সূত্র হতে জানা গিয়েছে যে, হাইকোর্ট পুলিশকে নির্দেশ দেওয়ায় আলাদা নির্দেশিকার কোনো প্রয়োজন নেই। কিন্তু পুলিশের সক্রিয়তার বিষয়ে একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কলকাতার বিভিন্ন গলিতে বিক্রি হচ্ছে বাজি। কিছু স্থানে তো পুলিশের নাকের ডগায় বাজি বিক্রির খবর ও সামনে এসেছে । প্রশাসন সূত্র হতে জানা গিয়েছে যে, আলাদা নির্দেশিকা জারি না করলেও হাইকোর্টের রায় মেনে চলছেন তারা। সচেতনতা প্রচার করছে কোলকাতা পুলিশ। সতর্ক করা হচ্ছে বাজি তৈরির কারখানাগুলি এবং তার আশেপাশের এলাকায় ও।

 

তবে কেবল বাজিতেই শেষ নয়, প্রশ্ন উঠেছে ছটপুজোকে ঘিরেও। আজ ছটপুজোর ব্যবস্থা নিয়ে প্রশাসনের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়তে দেখা যায় বিচারপতিকে। তার উত্তরে রাজ্য প্রশাসনের দিক থেকে কেবলই মিলেছে দায় এড়ানো কিছু মন্তব্য। এতে প্রচণ্ড কড়া ভাবে রাজ্যের পরিকল্পনার কথা জানতে চান বিচারপতি। উত্তরে বিশেষ কিছু না শুনে রাজ্যকে প্রচার চালানো এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।

Advertisement

Related Articles

Back to top button