দেশের প্রতিটি নাগরিকের মাথার উপরে ছাদ নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে কেন্দ্র সরকার ঘোষণা করেছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ২.০ (PMAY 2.0)। ২০২৪ থেকে ২০২৯ সালের মধ্যে চলবে এই বিশেষ উদ্যোগ, যার মাধ্যমে প্রায় এক কোটি পরিবারকে পাকা বাড়ি দেওয়া হবে।
পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য
এই যোজনার মূল উদ্দেশ্য—দেশে আর কোনও মানুষ গৃহহীন না থাকে। বিশেষ করে শহরাঞ্চলে বাড়ির তীব্র অভাব থাকায় সেখানে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে গ্রামীণ দরিদ্র, দিনমজুর, অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক ও BPL পরিবারের জন্যও সুবিধা চালু থাকবে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowআর্থিক সহায়তা ও লোনে সাবসিডি
যোগ্য পরিবারের জন্য সরকার সর্বোচ্চ ২.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা দেবে। এই টাকা নতুন বাড়ি নির্মাণ, পুরনো বাড়ি মেরামত বা বাড়ি সম্প্রসারণের কাজে ব্যবহার করা যাবে। পাশাপাশি যাঁরা হোম লোন নিয়ে বাড়ি তৈরি করবেন, তাঁদের জন্য থাকবে সুদে বিশেষ সাবসিডি, ফলে EMI-এর চাপ অনেকটা কমে যাবে।
কারা এই সুবিধা পাবেন?
যাঁদের নিজস্ব পাকা বাড়ি নেই।
যাঁরা শহরাঞ্চলে বসবাস করেন।
যাঁরা EWS বা BPL ক্যাটাগরিতে পড়েন।
যাঁরা আগে কোনও সরকারি হাউজিং স্কিমের সুবিধা পাননি।
প্রয়োজনীয় নথি
আবেদন করার জন্য থাকতে হবে পরিচয়পত্র, আয় ও বসবাসের প্রমাণপত্র। যেমন—আধার কার্ড, রেশন কার্ড, আয় সনদ, ব্যাংক পাসবইয়ের কপি, বসবাসের সনদ, সমগ্র আইডি (যদি প্রযোজ্য হয়) ও সক্রিয় মোবাইল নম্বর।
ডিজিটাল আবেদন প্রক্রিয়া
PMAY 2.0-এর অন্যতম বড় আকর্ষণ হল এর পুরোপুরি অনলাইন আবেদন ব্যবস্থা। আবেদনকারীকে সরকারি দপ্তরে দৌড়ঝাঁপ করতে হবে না।
প্রক্রিয়াটি এমন—
অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে লগইন করতে হবে।
Citizen Assessment সেকশনে গিয়ে আধার নম্বর দিয়ে OTP ভেরিফিকেশন করতে হবে।
অনলাইন ফর্ম পূরণ করে সাবমিট করতে হবে।
জমা দেওয়া ফর্মের প্রিন্ট নিয়ে প্রয়োজনীয় নথির সঙ্গে CSC সেন্টারে জমা করতে হবে।
কবে টাকা হাতে আসবে?
নথি যাচাই সাধারণত ৩০ দিনের মধ্যে শেষ হয়। যাচাই সম্পূর্ণ হলে টাকা সরাসরি আবেদনকারীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়। এরপরই বাড়ি তৈরি বা মেরামতের কাজ শুরু করা যায়।
প্রধান বৈশিষ্ট্য
সম্পূর্ণ ডিজিটাল ও স্বচ্ছ ব্যবস্থা।
২০২৯-এর মধ্যে এক কোটি পাকা বাড়ির লক্ষ্য।
আর্থিক সহায়তা সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে।
দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারকে অগ্রাধিকার।
EMI কমানোর জন্য সুদে সাবসিডি সুবিধা।
কেন গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্প
এখনও দেশে বহু মানুষ ভাড়া বাড়ি বা কাঁচা ঘরে বাস করেন। এই প্রকল্প চালু হলে তাঁদের নিরাপদ ও সম্মানজনক বাসস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। পাশাপাশি বাড়ির রেজিস্ট্রি মহিলাদের নামে হলে তাঁদেরও সম্পত্তির অধিকার ও আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত হবে।