দেশনিউজ

৫৬ বছর পর আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যোগ দিলেন এ দেশের প্রধানমন্ত্রী

Advertisement
Advertisement

লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১৯৬৪ সালের পরে কোনও প্রধানমন্ত্রী আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যোগ দিলেন। এদিন প্রধানমন্ত্রী সমাবর্তন অনুষ্ঠানে একাধিক বিষয়ে বক্তব্য রাখেন।

Advertisement
Advertisement

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের সঙ্গে তাঁর কথা হচ্ছিল। এক সময়ে মুসলিম মেয়েদের স্কুলছুটের সংখ্যা ছিল প্রায় ৭০ শতাংশ। বিগত কয়েক বছর ধরে এমনটাই চলে আসছিল। স্বচ্ছ ভারত মিশন চালু করার পরে সেই পরিস্থিতির বদল হয়। এখন স্কুলছুটের পরিমাণ কমে ৩০ শতাংশের কাছে এসেছে। ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত মুসলিম কন্যারাও এএমইউতে পড়াশোনা করছেন। এর প্রতিষ্ঠাতা চ্যান্সেলর দায়িত্ব সামলেছিলেন বেগম সুলতানা।যদি মহিলারা যদি শিক্ষিত হন, তবে পুরো প্রজন্ম শিক্ষিত হয়। আজ আমাদের সরকার তিন তালাকে আক্রান্ত মহিলাদের সাহায্যের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। করোনা কালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সাহায্য করেছে, সে কথাও এদিন উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী মোদি বলে, AMU এর ১০০  বছর পূর্ণ হচ্ছে, এমন পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের কিছু বিষয় নিয়ে গবেষণা করা উচিত।  স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে স্বাধীনতা যোদ্ধাদের নিয়ে গবেষণা করা উচিত। এমন স্বাধীনতা সংগ্রামীদের খোঁজা হোক, যাদের সম্পর্কে মানুষ খুব কম  জানেন। ৭৫ জন আদিবাসী ও ২৫ জন মহিলা স্বাধীনতা সংগ্রামীর বিষয়ে তথ্য সংগ্রন করুন সকলে।

Advertisement
Advertisement

মোদি বলেন, সবার মধ্যে কিছু কিছু বিষয়ে মতভেদ থাকে। কিন্তু যখন দেশের প্রসঙ্গ আসে, সেই মতভেদ ভেঙে এগিয়ে আসা উচিত। দেশ যে কোনও বর্ণ বা ধর্মের বিষয় নয়, দেশকে স্বাবলম্বী করার ক্ষেত্রে প্রত্যেকের অবদান রাখা উচিত। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনেক যোদ্ধা বেরিয়ে এসেছেন, যারা দেশের জন্য লড়াই করেছেন। রাজনীতি কেবল সমাজের একটি অঙ্গ। কিন্তু দেশের সমাজ গঠনই প্রত্যেকের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।  আমাদের উচিত দেশের সমাজকে উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করা। প্রায় ৫৬ বছর পরে কোনও প্রধানমন্ত্রী অংশ নিলেন আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে তিনি অনুষ্ঠানে সামিল হন।

Advertisement

Related Articles

Back to top button