প্রাকৃতিক দুর্যোগে বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকরা। সেই পরিস্থিতিতে তাঁদের জন্য এল বড় স্বস্তির খবর। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা (PMFBY)-র আওতায় খরিফ মৌসুমের ফসলের বিমা করার শেষ তারিখ বাড়ানো হয়েছে। সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ঋণগ্রস্ত (loan) কৃষকেরা আগামী ৩০ অগস্ট পর্যন্ত বিমা করাতে পারবেন, আর অঋণগ্রস্ত (non-loanee) কৃষকদের জন্য শেষ সময়সীমা নির্ধারিত হয়েছে ১৪ অগস্ট। এই সিদ্ধান্তে স্বস্তি মিলেছে উত্তরপ্রদেশের লক্ষীমপুর-সহ বিভিন্ন জেলার হাজারো কৃষকের।
অংশগ্রহণ বাড়ছে দ্রুত
জেলা কৃষি আধিকারিক সুর্য প্রতাপ সিং জানিয়েছেন, লক্ষীমপুর জেলায় ইতিমধ্যেই ২০,২৩৮ জন কৃষক এই বিমা যোজনায় যুক্ত হয়েছেন। গত বছর যেখানে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ৬,৪৯৫, সেখান থেকে এ বছরের বৃদ্ধি প্রমাণ করছে কৃষকদের আগ্রহ। আধিকারিকের মতে, কৃষকেরা এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি সচেতন এবং বিমার সুবিধার প্রতি আস্থা রাখছেন।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowকোন কোন ফসল অন্তর্ভুক্ত?
এই মৌসুমে ধান, ভুট্টা, উড়দ এবং চিনাবাদাম-সহ কয়েকটি নির্দিষ্ট খরিফ ফসলকে বিমার আওতায় আনা হয়েছে। কৃষি দপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী, যাঁরা ঋণ নিয়েছেন তাঁরা অবশ্যই নিজের ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিশ্চিত করবেন তাঁদের ফসল বিমার আওতায় এসেছে কি না। যদি না এসে থাকে, তবে দ্রুত ব্যাংকে জানিয়ে বিমা করাতে হবে।
কীভাবে মিলবে বিমার সুবিধা?
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে যদি ফসলের ক্ষতি হয়, তবে বিমা করা কৃষকেরা ক্ষতিপূরণের দাবি করতে পারবেন। ওলাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, জলাবদ্ধতা, মেঘভাঙা, বজ্রপাত, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিধস, পোকামাকড়ের আক্রমণ কিংবা রোগবালাই—সব ক্ষেত্রেই বিমা সুবিধা প্রযোজ্য হবে। এই বছর বিমার দায়িত্ব পেয়েছে ইউনিভার্সাল সোম্পো ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। কৃষকেরা ক্ষতির রিপোর্ট জমা দিতে পারবেন টোল-ফ্রি নম্বর ১৪৪৪৭-এ কল করে। তবে শর্ত হল, ক্ষতির ঘটনা ঘটার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জানাতে হবে।
কৃষকদের উদ্দেশে আবেদন
জেলা কৃষি আধিকারিক সুর্য প্রতাপ সিং কৃষকদের উদ্দেশে বলেছেন, “বিমা করা মানে শুধু টাকা নয়, বরং নিজের পরিশ্রমের সুরক্ষা। বেশি সংখ্যক কৃষক যদি এই প্রকল্পে যুক্ত হন, তবে দুর্যোগে ফসল নষ্ট হলেও তাঁদের জীবিকা সুরক্ষিত থাকবে।”