পাকিস্তানের সঙ্গে গোপন তথ্য ভাগাভাগির অভিযোগে ধৃত এক জনপ্রিয় ইউটিউবারের জামিনের আর্জি খারিজ করল হরিয়ানার আদালত। এই ঘটনার জেরে ফের একবার সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার ও জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
৩৩ বছর বয়সি জ্যোতি মালহোত্রা, যিনি পেশায় একজন ট্রাভেল ভ্লগার, গত মে মাসের ১৬ বা ১৭ তারিখে গ্রেফতার হন। অভিযোগ, তিনি পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। তার বিরুদ্ধে ‘অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’ এবং ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’র আওতায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Now১১ বা ১২ জুন, বিচারক সুনীল কুমার তার জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। আদালতের যুক্তি— এখনই জামিন দিলে তদন্তে বাধা আসতে পারে। বর্তমানে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য তার মোবাইল, ল্যাপটপ সহ একাধিক ইলেকট্রনিক ডিভাইস পাঠানো হয়েছে CFL পঞ্চকুলায়।
জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের নভেম্বর মাস থেকে ‘দানিশ’ নামক এক পাকিস্তানি হাই কমিশনের কর্মীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল জ্যোতির। ঐ ব্যক্তি, প্রকৃত নাম এহসান-উর-রহিম, ভারত সরকার সম্প্রতি গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে বহিষ্কার করেছে।
যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও সামরিক বা প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গোপন নথি জ্যোতির কাছে পাওয়া যায়নি, তবে তদন্তকারীদের দাবি— তিনি ধাপে ধাপে পাকিস্তানের পক্ষে গুপ্তচর হিসেবে গড়ে উঠছিলেন। তাই এখনও তাঁকে জামিন দেওয়া হলে প্রমাণ লোপাটের সম্ভাবনা প্রবল।
এই মামলাটি একটি বড় পরিসরের তদন্তের অংশ। সম্প্রতি আরও এক ইউটিউবার জসবীর সিং-কে এই একই চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে। জ্যোতির বিচার বিভাগীয় হেফাজতের মেয়াদ ২৩ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
পাঠকদের মনে জাগতে পারে এমন ৫টি প্রশ্ন
১. কে এই জ্যোতি মালহোত্রা?
তিনি একজন ট্রাভেল ভ্লগার এবং সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার, যিনি বিভিন্ন ভ্রমণ বিষয়ক ভিডিও তৈরি করেন।
২. কী কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে?
তদন্তকারীদের দাবি, তিনি পাকিস্তানি এজেন্টের সঙ্গে গোপন তথ্য ভাগ করে নিচ্ছিলেন।
৩. এই মামলার বর্তমান অবস্থা কী?
তাকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখা হয়েছে এবং জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে।
৪. এই মামলায় আর কেউ যুক্ত কি?
হ্যাঁ, জসবীর সিং নামে আরও একজন ইউটিউবারকেও এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
৫. এখন কোন সংস্থা তদন্ত চালাচ্ছে?
স্থানীয় পুলিশ এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা যৌথভাবে তদন্ত করছেন, ফরেনসিক পরীক্ষাও চলছে।