নিউজপলিটিক্সরাজ্য

বাংলায় আসছেন ওয়াইসি, নতুন সমীকরণের আশায় কংগ্রেস সিপিএম

Advertisement
Advertisement

পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনে একটি বড় এক্স ফ্যাক্টর হল পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু ভোট ব্যাংক। ২০১১ সাল অব্দি বাংলার এই ভোটব্যাঙ্কের সিংহভাগ যেত সিপিএমের দিকে। কিন্তু পরবর্তীতে, পরিবর্তন হওয়ার ফলে এই ভোটব্যাঙ্ক বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে যায়। বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই ভোটব্যাঙ্ক অন্যতম বড় একটি বিষয়। তবে এবারে, বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে আসছে আসাদুদ্দিন ওয়াইসি র অল ইন্ডিয়া মজলিস- এ ইত্তেহাদুল মুসলিমিন ওরফে এআইএমআইএম। এই দলকে ঘিরে বর্তমানে বিভিন্ন হিসেব-নিকেশ শুরু করেছে শাসক এবং বিরোধী দলগুলো।

Advertisement
Advertisement

সিপিএম এবং কংগ্রেস এই দলকে নিয়ে ইতিমধ্যেই একটি বৈঠক সেরে ফেলেছে। অন্যদিকে আসাদুদ্দিন জানিয়েছেন, তার দল AIMIM সম্পূর্ণরূপে বিজেপি বিরোধী। তাদের লক্ষ্য বাংলায় বিজেপিকে না আসতে দেওয়া। তিনি সরাসরি জোট প্রস্তাব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এখনো সেই বিষয়ে কিছু বলেননি। সূত্রের খবর, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বাংলাভাষী মুসলিমদের টার্গেট করে নির্বাচনে লড়তে চলেছে এআইএমআইএম। মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা তে আসাদুদ্দিন এর দলের সংগঠন মোটামুটি বড় হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

এই মুহূর্তে একটি সংবাদমাধ্যমকে এআইএমআইএম দলের মুখপাত্র অসীম ওয়াকার জানিয়েছেন, ” বিহারের পর আমাদের লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গ। বিধানসভা ভোটে প্রার্থী দেব। ৩ বছর ধরে এই রাজ্যে সংগঠনের জন্য পরিশ্রম করেছি। সংগঠন মোটামুটি তৈরি। বাংলায় আমাদের নেতাদের নাম ঘোষণা সময়ের অপেক্ষা মাত্র।”

Advertisement
Advertisement

প্রসঙ্গত, বিহারে ২০টি আসনে প্রার্থী দিয়ে ৫টি জিতেছে এআইএমআইএম। এই আসনের মধ্যে ৪টি আসন মালদহ, উত্তর দিনাজপুর এবং মুর্শিদাবাদ এর কাছাকাছি জায়গায়। অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা তে এখনো পর্যন্ত কিছু সংখ্যালঘু ভোট সিপিএমের দিকে রয়েছে। কিন্তু এই রকম পরিস্থিতিতে, যদি বাংলায় এআইএমআইএম ভোট লড়তে আসে তাহলে তারা একটি বড় ব্যবধানে ভোটব্যাঙ্ক নিজেদের দিকে টেনে নেবে। এর ফলে আখেরে ফায়দা হবে বিজেপির।

তবে শুধুমাত্র সিপিএম কংগ্রেস নয়, এই রাজ্যের শাসকদলের অস্বস্তিও বাড়াতে পারে এআইএমআইএম। ফলে সব পক্ষই বর্তমানে নিজেদের মধ্যে কৌশল সাজাতে ব্যস্ত। এখন দেখার, এতগুলি দলের মধ্যে শেষ হাসিটা কে হাসে।

Advertisement

Related Articles

Back to top button