আচ্ছা ভাবুন তো, কোথাও ঘুরতে গেলেন, তারপর সেটির ভিডিও বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দিলেন, আর তার থেকে অর্থ উপার্জনকরা গেল তাহলে কতই না ভালো হত? তবে এটা সম্ভব।
আজ এই প্রতিবেদন একটি দারুণ বিজনেস আইডিয়া সম্পর্কে আপনাদের বলা হবে। এটি আপনার আপনার অনেক কাজে লাগতে পারে। এটি ভ্রমণ ব্লগিং এর একটি ব্যবসায়িক ধারণা। এর অধীনে, আপনাকে কেবল জায়গাটি ঘুরে বেড়াতে হবে এবং টেক্সট এবং ভিডিওর মাধ্যমে এটি সম্পর্কে মানুষকে জানাতে হবে।
বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে ইউটিউব মানুষের সাথে সংযোগ স্থাপন এবং ভ্রমণ ব্লগিং থেকে প্রচুর অর্থ উপার্জন করার একটি ভাল উপায় হয়ে উঠেছে। চলুন জেনে নিই কিভাবে ট্রাভেল ব্লগিং ব্যবসা করবেন এবং মাস গেলে ভালো অর্থ উপার্জন করবেন।আপনি যদি ট্রাভেল ব্লগিং করতে চান, তাহলে প্রথমে আপনার একটি ভালো ক্যামেরা লাগবে। অনেক সময়ের ভালো ফোনেও কাজ হয়ে যায়। প্রাথমিক পর্যায়ে, আপনি আপনার মোবাইল ফোনের ক্যামেরা দিয়েও এই কাজটি করতে পারেন। এ ছাড়া আপনার একটি ওয়েবসাইটের প্রয়োজন হবে, যেখানে আপনাকে ট্রাভেল ব্লগিং সম্পর্কিত তথ্য লিখতে হবে। আপনাকে একটি YouTube চ্যানেল তৈরি করতে হবে যাতে আপনি সেখানে আপনার ভিডিও আপলোড করতে পারেন।
ট্রাভেল ব্লগিং থেকে আপনি কতটা আয় করবেন তা নির্ভর করবে আপনি কতজন ব্যবহারকারী পড়ছেন এবং দেখছেন তার উপর। এমন পরিস্থিতিতে শুরুতেই পকেট থেকে টাকা খরচ করতে হবে। আপনার ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার বাড়ার সাথে সাথে বা আপনার ওয়েবসাইটের ব্যবহারকারী বাড়ার সাথে সাথে বিজ্ঞাপন থেকে আপনার উপার্জনও আকাশছোঁয়া হবে। তবে এর জন্য আপনার প্রচুর সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে, অন্যথায় আপনি বড় অঙ্কের অর্থ উপার্জন করতে পারবেন না।
ভ্রমণ ব্লগিং এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করার সর্বোত্তম উপায় হ’ল খুব সস্তা প্যাকেজ সম্পর্কে কথা বলা। উদাহরণস্বরূপ, আপনি মানুষকে বলতে পারেন কিভাবে সিমলা, মানালি, মুসুরির মতো সমস্ত জায়গায় খুব অল্প টাকায় ঘুরে বেড়াতে হয়। এই জায়গাগুলিতে যাওয়ার জন্য আপনি কোথা থেকে বাস বা ট্রেন পাবেন এবং কত টাকা ব্যয় হবে তা আপনি বলতে পারেন। এই জায়গাগুলিতে কোন সস্তা হোটেল এবং রেস্তোঁরা রয়েছে এবং সেখানে কত টাকা ব্যয় হবে তাও আপনাকে লোকদের জানাতে হবে। আপনি যখন কাউকে বিস্তারিত তথ্য দেবেন, তখন মানুষ অবশ্যই আপনার কনটেন্ট পছন্দ করবে এবং এতে আপনার ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়বে।