Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

শীতকালে আপনার চুলে তেলতেলে ভাব? সহজ উপায়ে সমস্যার সমাধান

চুল ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে শরীরের সবচেয়ে দুর্বল অংশ যা আবহাওয়া বা জীবনযাত্রায় সামান্য পরিবর্তনের দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। চুলের দুটি সাধারণ সমস্যা হল, চুল পাতলা হয়ে যাওয়া এবং চুল পড়ে…

Avatar

By

চুল ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে শরীরের সবচেয়ে দুর্বল অংশ যা আবহাওয়া বা জীবনযাত্রায় সামান্য পরিবর্তনের দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। চুলের দুটি সাধারণ সমস্যা হল, চুল পাতলা হয়ে যাওয়া এবং চুল পড়ে যাওয়া। চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য রোজ রোজ পার্লারে যাওয়া কারোর জনু সম্ভব নয়। তাই বাড়িতেই এই সমস্যা দুটির প্রতিকার আমাদের খুঁজে নিতে হবে। আমরা যেমন ত্বকের যত্ন নিয়ে থাকি একই ভাবে আমাদের চুল ভালো অবস্থায় রাখাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। আর চুলের যত্ন নেওয়ার সময় বাইরের যত্নের পাশাপাশি সুষম খাদ্যের মাধ্যমে ভিতরের যত্নও সমান জরুরি। তার সঙ্গে চুলের ধরন বুঝে সঠিক সামগ্রী ব্যবহার করতে হবে।

শীতকাল এলেই আমাদের সকলের চুলের নানান সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে শীতকালে তৈলাক্ত চুল ভালো রাখা য খুব কঠিন হয়ে ওঠে। কারণ এই সময় শ্যাম্পু করার সময় বারবার মনে হয় এটা বেশি হয়ে যাচ্ছে কিনা। আবার এই সময় তৈলাক্ত চুলে তেল দেওয়াও যায় না। আবার যদি হেয়ার মাস্ক ও লাগায় তা চুল তৈলাক্ত হয়ে যায়। তখন মনে হয় চুল একটু শুষ্ক হওয়াই ভালো ছিল।

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

তবে আমাদের এই স্বাস্থ্যকর চুলের জন্য বাইরের কেমিক্যালের থেকে ঘরের সাধারণ কিছু উপাদান খুব উপকারী। যেমন নারকেলের দুধ সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর আর প্রাকৃতিক উপাদান। তাজা নিষ্কাশিত নারকেলের দুধের সঙ্গে একটি লেবুর রস আর ৪-৫ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার তেল মিশিয়ে ৪-৫ ঘন্টা মাথায় রেখে তার পরে ধুয়ে ফেলতে হবে।

যদিও এটা কখনোই ভাবা উচুর নয় যাদের তৈলাক্ত চুল তাদের কোনোভাবে কন্ডিশনারের প্রয়োজন হয় না। যাঁদের তৈলাক্ত চুল তাঁরা স্কাল্প ছাড়া চুলের গোড়াতে কন্ডিশনার দিতে পারেন। তবে এই কন্ডিশনার দেওয়া হালকা হতে হবে এবং তৈলাক্ত চুলের ক্ষেত্রে কোনোভাবেই হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করা চলবে না।

তৈলাক্ত চুলের ক্ষেত্রে বাজার থেকে নয় বরং বাড়িতে বসেই একটি কন্ডিশনার ঘরেই তৈরি করে নেওয়া যায় যা আপনার চুলে উজ্জ্বলতা বাড়াবে। কয়েকটা পেঁয়াজ ও কিছু বাঁধাকপি একসঙ্গে কুচি কুচি করে কেঁটে একটা তামার পাত্রে সারারাত রেখে দিতে হবে। সকালে, পেঁয়াজের গন্ধ দূর করতে ইলাং ইলাং এসেনসিয়াল অয়েলের কয়েক ফোঁটা এই মিশ্রণে যোগ করতে হবে। সাথে কয়েক ফোঁটা ভেষজ তেল যোগ করে এবং তার পর মাথায় লাগাতে হবে। ৩০ মিনিট পর আপনি শ্যাম্পু করে নেবেন। শ্যাম্পু করার পর এতে চুলে ঔজ্জ্বল্য ও সুন্দর রঙ আসবে। সপ্তাহে একবার এটি ব্যবহার করা যেতেই পারে।

তৈলাক্ত চুলের আরো এক সমস্যা হল খুশকি। এই খুশকি দূর করারও একটি উপায় আছে। দুই চামচ মেথির বীজ সারারাত জলে ভিজিয়ে সকালে বীজের পেস্ট তৈরি করে লেবুর রস মিশিয়ে মাথায় লাগাতে হবে। ৩০ মিনিট সেই পেস্ট রেখে সাবান বা শিকাকাই এবং জল দিয়ে আপনি নিজের চুল ধুয়ে ফেলতে পারেন। এই চুল ধোয়ার পরিবর্তে একটি ভেষজ শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে এই ভাবে দু’বার এটি ব্যবহার করলে খুশকির সমস্যার সমাধান হতে প্সতে।

চুল শ্যাম্পু করার আগে, ১ টেবিল চামচ জল এবং ১০ ফোঁটা প্যাচৌলি এসেনসিয়াল অয়েল নিয়ে হালকা মাসাজ করতে হবে। আঙুল দিয়ে এটি স্কাল্প এবং চুলে লাগিয়ে চুল শ্যাম্পু করে নিতে পারেন। চুল থেকে তেল দূর করতে আপনি আপেল সাইডার ভিনিগার ব্যবহার করতে পারে । ১ মগ জলের জন্য ১চা চামচ ভিনিগার নিতে হবে। যদি নিয়মিত ব্যবহারের পরে চুল পড়তে শুরু করে তাহলে আপেল সাইডার ভিনিগারের পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে। আর তৈলাক্ত চুলে ঘন ঘন হাত দেওয়া বা হেয়ারব্রাশ চালানো বন্ধ করতে হবে। এরকম করলে আপনার চুলের সিবাম বেড়ে যায় এবং চুল আরও বেশি তৈলাক্ত হয়ে যায়।

About Author