Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

ফিরে এল কিংবদন্তি Nokia 1100 5G, পাওয়ারফুল ব্যাটারি আর একদম নতুন লুকে – Nokia 1100

মোবাইল জগতের ইতিহাসে এমন একটি ফোন আছে, যা এখনও কোটি মানুষের মনে জায়গা করে রেখেছে—সেটি হল Nokia 1100। ২০০৩ সালে বাজারে আসা এই ফিচার ফোনটি শুধু ভারতের নয়, গোটা বিশ্বের…

Avatar

মোবাইল জগতের ইতিহাসে এমন একটি ফোন আছে, যা এখনও কোটি মানুষের মনে জায়গা করে রেখেছে—সেটি হল Nokia 1100। ২০০৩ সালে বাজারে আসা এই ফিচার ফোনটি শুধু ভারতের নয়, গোটা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া মোবাইলের খেতাব পেয়েছিল। প্রায় ২৫ কোটিরও বেশি ইউনিট বিক্রি হওয়া এই ফোন আজও নস্ট্যালজিয়ার প্রতীক হয়ে আছে।

টেকসই ও ব্যবহারবান্ধব ডিজাইন

নোকিয়া 1100-এর ডিজাইন ছিল একেবারে কমপ্যাক্ট এবং সহজ। রাবারাইজড কীপ্যাড, নন-স্লিপ গ্রিপ এবং ডাস্টপ্রুফ ফ্রন্ট কভার এটিকে গ্রামীণ ভারতের কঠিন পরিস্থিতিতেও কার্যকর করে তুলেছিল। মাত্র ৮৬ গ্রাম ওজনের এই ফোনটি হাতে ধরতে হালকা হলেও টেকসই প্লাস্টিক বডির জন্য বারবার পড়লেও ক্ষতিগ্রস্ত হতো না।
ফোনটিতে এক্সপ্রেস-অন কভার ব্যবহারের সুবিধা ছিল, যা অনেকেই নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী কালার দিয়ে কাস্টমাইজ করতেন। হালকা নীল, কালো, কমলা রঙের পাশাপাশি থার্ড-পার্টি কভারও সহজলভ্য ছিল। এর মধ্যে বিল্ট-ইন টর্চলাইট ছিল সবচেয়ে জনপ্রিয় ফিচার, যা বিদ্যুৎ বিভ্রাটে গ্রামীণ এলাকায় বড় ভূমিকা রাখত।

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

মনোক্রোম ডিসপ্লে ও বেসিক ইন্টারফেস

এই ফোনের ৯৬x৬৫ পিক্সেল মনোক্রোম ডিসপ্লে ছিল সাদামাটা, তবে কল, এসএমএস আর সহজ মেনু ব্যবহারের জন্য যথেষ্ট। গ্রিন ব্যাকলাইটিং সহ চার লাইনের এই স্ক্রিনে নাম্বার, মেসেজ ও গেমস দেখা যেত। Snake II আর Space Impact+ ছিল সেই সময়ের সেরা বিনোদনের মাধ্যম। আজকের টাচস্ক্রিন AMOLED ডিসপ্লের সঙ্গে তুলনা করলে তা সেকেলে মনে হলেও, ২০০৩ সালে এটি যথেষ্ট কার্যকর ছিল।

ক্যামেরা ও মাল্টিমিডিয়ার অভাব

নোকিয়া 1100-এ ক্যামেরা ছিল না। গান শোনা বা FM রেডিওর সুবিধাও দেওয়া হয়নি। তবে রিংটোন কম্পোজার দিয়ে মনোফোনিক টোন তৈরি করা যেত। ফোনে প্রি-লোডেড গেমস ও স্মার্ট মেসেজিং সুবিধা থাকায় ব্যবহারকারীরা একে সাধারণ হলেও দরকারি মনে করতেন।

দুর্দান্ত ব্যাটারি ব্যাকআপ

৮৫০mAh BL-5C ব্যাটারি এই ফোনকে জনপ্রিয় করে তুলেছিল। একবার চার্জে ৭-১০ দিন পর্যন্ত টিকে যেত। স্ট্যান্ডবাই টাইম ছিল প্রায় ৪০০ ঘণ্টা এবং টক টাইম ছিল ৪.৫ ঘণ্টা। বিদ্যুৎ সমস্যায় ভোগা গ্রামীণ ভারতে এই ব্যাটারিই ফোনটিকে অনন্য করে তুলেছিল।

কানেক্টিভিটি ও ফিচার

এটি GSM 900/1800 ব্যান্ডে কাজ করত এবং সিম কার্ড ব্যবহার করে চালানো যেত। কল কোয়ালিটি ছিল পরিষ্কার এবং লো-সিগনাল এলাকাতেও সংযোগ রাখা যেত। অ্যালার্ম, ক্যালকুলেটর, স্টপওয়াচ, ফ্ল্যাশলাইট, ৬ প্রোফাইল ইত্যাদি বেসিক সুবিধা থাকলেও আধুনিক প্রযুক্তির অভাব ছিল স্পষ্ট।

দাম ও বর্তমান প্রাপ্যতা

২০০৩ সালে প্রায় ৫,০০০ টাকায় বিক্রি হওয়া এই ফোন বর্তমানে নতুন বাজারে নেই। তবে সেকেন্ড-হ্যান্ড বা রিফার্বিশড মার্কেটে এখনো ৮৫০ থেকে ১,২০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। অনেকে নতুন ব্যাটারি লাগিয়ে ব্যবহার করেন, তবে স্পেয়ার পার্টস এখন বিরল।
যদিও Nokia 1100 5G (2025) নামে নতুন একটি ভার্সন নিয়ে জল্পনা চলছে, যেখানে 5G সাপোর্ট, KaiOS, বড় ব্যাটারি ও ক্যামেরা দেওয়ার দাবি শোনা যাচ্ছে, কোম্পানি এখনও কোনও অফিসিয়াল ঘোষণা করেনি।

About Author