নয়াদিল্লি: একদিকে যখন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে রিপোর্ট পেশ করে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ভারত আর্থিক মন্দার কবলে খাতায়-কলমে ঢুকে পড়েছে, তখন আজ, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়ে দিলেন আগের তুলনায় বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগ। এমনকি জিএসটি আদায় বেড়েছে ১০%। করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশের অর্থনীতি সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে নতুনভাবে ভাবনা-চিন্তা করা হচ্ছে, এমন কথা বেশ কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। আর আজ সেই বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন নির্মলা সীতারামন।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ভারতীয় অর্থনীতিকে উন্নতির দিকে তুলে আনার জন্য বেশ কিছু ভাবনা-চিন্তা করেছে কেন্দ্র। বিষয়টা কিছুটা জটিল হলেও সহজ করে বলতে গেলে এটাই বলতে হয় যে, যেসব বিষয় করোনা পরিস্থিতির কারণে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেখানেই নতুন কিছু করার ভাবনা ভেবেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ প্রসঙ্গে নির্মলা সীতারামন বলেন, ‘কৃষিজীবী, মৎস্যজীবী সকলের জন্যই ভাবা হয়েছে। দেশের অর্থনীতি এখন আগের থেকে অনেকটাই চাঙ্গা। বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে। জিএসটি খাতে আদায় বেড়েছে। করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। ভারতে আর্থিক অবস্থা ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। ‘নেগেটিভ গ্রোথ’ বেশ কমেছে। বেড়েছে ব্যাঙ্ক ক্রেডিট। ফলে অর্থনৈতিক অবস্থা আরও মজবুত হচ্ছে।’
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowএর পাশাপাশি আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পে রোজগার করার কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী। এমনকি এক হাজার জন নিয়ে কাজ করা যে কর্মসংস্থান লকডাউনের কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে যাদের বেতন ১৫ হাজারের কম, তাদের প্রভিডেন্ট ফান্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে এমপ্লয়ারস এবং এমপ্লয়িজ দুক্ষেত্রেই টাকা বহন করবে কেন্দ্রীয় সরকার। সব মিলিয়ে ভারতের অর্থনীতি নিয়ে আরবিআই যখন আশার আলো দেখালো না, ঠিক তখনই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী দেশবাসীর উদ্দেশ্যে আশার আলো নিয়ে এসেছেন।