ভারতের সড়ক নিরাপত্তা আইনে বড়সড় পরিবর্তন আনা হয়েছে ২০২৫ সালে। নতুন ট্রাফিক নিয়মে এবার থেকে গাড়ি চালানো নাবালক ধরা পড়লেই খেসারত দিতে হবে তার অভিভাবকদের। শুধু মোটা অঙ্কের জরিমানাই নয়, হতে পারে জেল পর্যন্ত। এতে উদ্বেগে পড়েছেন বহু পরিবার, যাদের সন্তানরা গাড়ি চালাতে আগ্রহী হলেও এখনও লাইসেন্সধারী নন।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কোনও নাবালক যদি গাড়ি চালানোর সময় ধরা পড়ে, তবে তার অভিভাবক বা অভিভাবিকার বিরুদ্ধে ২৫,০০০ টাকা জরিমানা ধার্য করা হবে। শুধু তাই নয়, ওই অভিভাবককে তিন বছর পর্যন্ত কারাবাসের মুখোমুখি হতে হতে পারে। সেই গাড়িটির রেজিস্ট্রেশনও এক বছরের জন্য বাতিল হয়ে যাবে। এমনকি, ওই নাবালক ২৫ বছর না হওয়া পর্যন্ত ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবে না।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowএছাড়া আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে। যেমন—
মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালালে প্রথমবারে ১০,০০০ টাকা জরিমানা বা ছ’মাস জেল হতে পারে। পুনরাবৃত্তিতে জরিমানা বেড়ে ১৫,০০০ ও জেল দুই বছর পর্যন্ত হতে পারে।
সিগন্যাল ভাঙলে আগের ৫০০-এর বদলে এখন ৫,০০০ টাকা জরিমানা ধার্য হবে।
গতি সীমা অতিক্রম বা অতিরিক্ত বোঝা বহন করলে ব্যক্তিগত গাড়ির ক্ষেত্রে ৫,০০০ এবং কমার্শিয়াল গাড়ির ক্ষেত্রে ২০,০০০-এর বেশি জরিমানা হতে পারে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে ৫,০০০ জরিমানা। ই-লাইসেন্স (DigiLocker/mParivahan) গ্রহণযোগ্য হবে।
পলিউশন সার্টিফিকেট না থাকলে ১০,০০০ জরিমানা ছাড়াও ছ’মাস জেল বা কমিউনিটি সার্ভিসের শাস্তি হতে পারে।
সিট বেল্ট না বাঁধলে প্রতিটি যাত্রীর জন্য ১,০০০ জরিমানা।
দুই চাকার গাড়িতে তিনজন উঠলে ১,০০০ জরিমানা।
হেলমেট না পড়লে ১,০০০ জরিমানা এবং তিন মাসের জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল হবে।
মোবাইল ব্যবহার করে গাড়ি চালালে জরিমানা হতে পারে ৫,০০০ পর্যন্ত।
এই নতুন নিয়মগুলির মাধ্যমে সরকারের উদ্দেশ্য হল সড়ক দুর্ঘটনা রোধ ও নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। যদিও কঠোর শাস্তির প্রয়োগে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তবুও সরকারের আশা, এভাবেই ট্রাফিক নিয়ম ভঙ্গের প্রবণতা কমবে এবং সড়কে মৃত্যুর হার হ্রাস পাবে।