রাজ্যে চলতি বছর প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে স্কুল খোলার তারিখ পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়েছে। মূলত ২ জুন থেকে স্কুল খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও, তীব্র গরম এবং উষ্ণতায় ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকার গরমের ছুটি আরও ৭ দিন বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিয়েছে। এর আগে ৩১ মে পর্যন্ত গরমের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে যে তাপমাত্রা বাড়ছে, তাতে ছুটির মেয়াদ বাড়ানো ছাড়া উপায় নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।
বর্ষা যদি নির্ধারিত সময়ে না আসে, তাহলে রাজ্যে তাপমাত্রার মাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর ফলে তাপ প্রবাহ তীব্রতর হয়ে উঠবে এবং সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদেরও এক ধরনের শারীরিক ঝুঁকি মোকাবেলা করতে হবে। কলকাতা থেকে শুরু করে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা জুড়েই একাকার গরমের প্রভাবে জনজীবন বিপর্যস্ত। গরমে অসুস্থতা এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে চিকিৎসকরা খুব দরকার না পড়লে বাড়ির বাইরে না বের হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowসরকারের প্রশাসনিক মহলের সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে স্কুল খুলে দেওয়া সম্ভব নয়। বরং ৭ দিন গরমের ছুটি বাড়ানো হবে, যাতে ছাত্রছাত্রীরা বাড়িতে নিরাপদে থাকতে পারে এবং গরমের তীব্রতা থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারে। এই সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের প্রতি গভীর চিন্তাভাবনা থেকে নেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের অন্যান্য বিভাগ এবং শিক্ষা দপ্তর এই বিষয়ে অবগত এবং তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
শিক্ষা দপ্তর এবং নবান্ন প্রশাসন এই মুহূর্তে স্কুল খোলার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করছে। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনো অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি বা ঘোষণা করা হয়নি, তবে ছুটির মেয়াদ বাড়ানোর ব্যাপারে প্রাথমিক আলোচনা চলছে। তাপমাত্রার ক্রমবর্ধমান ঊর্ধ্বগতি এবং দাবদাহের ফলে ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনা করেই সরকার এই পদক্ষেপ নিতে চাইছে।
এছাড়াও, দীর্ঘদিন ধরে চলা এই গরমের কারণে জনসাধারণের জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে, বিশেষত শারীরিক দুর্বল ব্যক্তিদের জন্য গরম একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে স্কুল খোলা ছাত্রছাত্রীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, যা সরকার চায় না। ফলে আগামী কয়েকদিনে স্কুল খোলার বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, তা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আবহাওয়ার উন্নতির ওপর।
সার্বিকভাবে বলা যায়, রাজ্য সরকার ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে এবং চলমান তীব্র দাবদাহের পরিপ্রেক্ষিতে স্কুল খোলার তারিখ পিছিয়ে দিতে যাচ্ছে এবং গরমের ছুটি বাড়ানোর ব্যাপারে কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ করছে।