চীনে পাওয়া BF.7 ভেরিয়েন্টের তিনটি কেস ভারতেও পাওয়া গেছে। এর মধ্যে গুজরাটে দুটি এবং ওড়িশায় একটি মামলা পাওয়া গেছে। এই তিন রোগীই সুস্থ হয়েছেন। সরকার বলেছে, আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। সরকার শিগগিরই এ বিষয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করতে পারে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া বলেছেন যে BF.7 ভেরিয়েন্টের কেস ভারতে শুধুমাত্র সেপ্টেম্বরে প্রকাশ্যে এসেছিল। তাদের মধ্যে ভাদোদরায় আসা এক এনআরআই মহিলাও রয়েছেন। চিকিৎসার পর তিনজনই সুস্থ হয়েছেন।
ডঃ রাজেশ পান্ডে, প্রিন্সিপাল সায়েন্টিস্ট, সিএসআইআরের মতে, ভারতে করোনা ভেরিয়েন্টের জিনোম সিকোয়েন্সিং পরিচালনাকারী দল বলছে, ওমিক্রনের এই বৈকল্পিক BF.7 খুব বিপজ্জনক প্রমাণিত হত যদি ভারতের বৃহৎ জনসংখ্যাকে টিকা না দেওয়া হত। সেটা হলে চীনের মতো আমাদের দেশে আবারও ব্যাপক প্রাণহানি হতে পারত। কিন্তু সময়মত পদ্ধতিগত টিকাদান কর্মসূচির কারণে দেশের অধিকাংশ জনসংখ্যাকে টিকা দেওয়া হয়েছিল, যার কারণে বর্তমানে চীনের মতো ভারতে বড় কোনো সমস্যা নেই।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowএই রাজ্যগুলি আজ জরুরি বৈঠক ডেকেছে
আজ ইউপি ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীরা কোভিড নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ডেকেছেন। ইউপির স্বাস্থ্যমন্ত্রী মক্কেশ্বর সিং বলেছেন যে, আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই, আমাদের হাসপাতাল এবং ভ্যাকসিনের কোনও অভাব নেই। তবে চীনে আবারও করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবেলায় রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালকে সতর্ক করা হয়েছে এবং অক্সিজেন প্ল্যান্টগুলিকে পূর্ণ ক্ষমতায় প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
‘অপ্রয়োজনে জনাকীর্ণ জায়গায় যাবেন না’
দিল্লি সরকারও জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। সরকার বলেছে যে তাদের করোনা প্রোটোকল অনুসরণ করা উচিত এবং অপ্রয়োজনীয়ভাবে জনাকীর্ণ জায়গায় যাওয়া এড়ানো উচিত। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আজ জরুরি বৈঠক ডেকেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। স্বাস্থ্য দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ডেপুটি সিএম মনীশ সিসোদিয়াও এই বৈঠকে অংশ নেবেন। এতে দিল্লির স্বাস্থ্য সুবিধার প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করা হবে।