নিউজরাজ্য

উচ্চ মাধ্যমিকের ফল বিভ্রাট নিয়ে নতুন বিতর্কে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ

উচ্চ মাধ্যমিকের ফল বিভ্রাটের সম্পূর্ণ দায় স্কুলের উপরে ফেলতে চাইছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ, এমনটাই দাবি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের

Advertisement
Advertisement

এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বহু ছাত্র-ছাত্রী অকৃতকার্য হয়েছেন। সেই অভিযোগে স্কুলে স্কুলে রেজাল্ট নিয়ে বিক্ষোভ করছেন পড়ুয়ারা। তবে এই সমস্ত রেজাল্ট এর দায় যে নির্দিষ্ট স্কুলের সেই কথা এবারে সরাসরি জানিয়ে দিলেন সংসদ সভাপতি মহুয়া দাস। তার পাশাপাশি অভিযোগ উঠেছিল ছাত্র-ছাত্রীদের জোর করে স্কুল কর্তৃপক্ষ মুচলেকায় সই করিয়ে নিয়ে তারপরে তাদের হাতে মার্কশিট দিচ্ছে। তিলজলার একটি স্কুলে এরকম ভাবেই মুচলেকা দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে জোর করে ক্ষমা চাওয়ানো হয়েছে বলেও অভিযোগ। তারই মধ্যে, আবারো মহুয়া দাস এর এরকম বক্তব্য রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।

Advertisement
Advertisement

মঙ্গলবার বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে এসআই অফিস থেকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল বলে খবর। সেখানেই তাদের হাতে একটি করে মুচলেকার বয়ান ধরিয়ে দেওয়া হয়। তাতে লেখা, করোনা পরিস্থিতির কারণে অসম্পূর্ণ এবং ত্রুটিপূর্ণ নম্বর সংসদে পাঠিয়ে ফেলেছে স্কুলগুলি, তার ফলেই হয়েছে এই সমস্ত বিভ্রাট। তার ফলেই এই সমস্ত স্কুলের এত জন ছাত্র-ছাত্রী অকৃতকার্য হয়েছেন। কার্যত, এই রেজাল্ট বিভ্রাটের সমস্ত দায় যে স্কুলের সেটাই জানিয়ে দিতে চাইছে সংসদ।

Advertisement

পাশাপাশি মুচলেকায় এও লেখানো হয়েছিল, ছাত্র-ছাত্রীদের নম্বর সংশোধন করে সাত দিনের মধ্যে নতুন মার্কশিট দেওয়া হবে। তারপরেই সংসদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ। তারা দাবি জানিয়েছেন সংসদের নিয়ম মেনে তারা নম্বর পাঠিয়ে ছিলেন। তাতে যদি কোনো ভাবে কোনো ছাত্রছাত্রী ফেল করে যান তাহলে তাদের কোনো দায়িত্ব নেই। তার পাশাপাশি, শিক্ষক শিক্ষিকারা বলছেন এই সমস্ত অকৃতকার্য ছাত্র-ছাত্রীদের দায় সংসদের। শিক্ষকদের একাংশ আবার বলছে, স্কুলে অনুত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীদের বিক্ষোভের দায় সম্পূর্ণরূপে স্কুলের উপর চাপাতে চাইছে সংসদ।

Advertisement
Advertisement

তার মধ্যেই আবার মুচলেকার পাল্টা মুচলেকা। তিলজলা এলাকার একটি বালিকা বিদ্যালয় আবার সরাসরি পড়ুয়াদের কাছ থেকে মুচলেখা সই করিয়ে তার পরেই তাদের হাতে মার্কশিট দিয়েছে। জানা যাচ্ছে ৭১ জন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এই স্কুলে অকৃতকার্য হয়েছিলেন। তারপরে তারা গত ২৩ শে জুলাই স্কুলে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন, প্রধান শিক্ষকের ঘরে জানালা ভেঙে দিয়েছিলেন। এর ফলে সারা স্কুল জুড়ে অশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। তাদের অভিভাবকরাও ছাত্রীদের সঙ্গে বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন। বর্তমানে সে স্কুলে সবাই পাস করেছেন কিন্তু নতুন মার্কশিট নিতে গেলে তাদেরকে একটি নতুন মুচলেকায় স্বাক্ষর করতে হচ্ছে। সেই মুচলেকায় বক্তব্য, স্কুলের সম্পত্তি নষ্ট করার জন্য এবং স্কুলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য ছাত্রীরা ক্ষমাপ্রার্থী! এই বিষয়টি সামনে আসা মাত্রই নতুন করে বিতর্কে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।

Advertisement

Related Articles

Back to top button