দেশনিউজ

প্রতি ১৬  মিনিট অন্তর একজন মেয়ে দেশে ধর্ষিতা হয়, রিপোর্ট প্রকাশ করল এনসিবি

Advertisement
Advertisement

মুম্বই: উত্তরপ্রদেশে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটে চলেছে। কার্যত উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে গোটা দেশ জুড়ে। হাথরস কান্ডের রেষ এখনও কাটেনি। তারই মধ্যে বলরামপুর এবং বুন্দেলশহরে ফের একইভাবে দলিত ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এক্ষেত্রেও নিষ্ক্রিয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এমন সময় ‘দ্য ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো’ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে দেশে প্রতি ১৬ মিনিট অন্তর একজন মেয়ে ধর্ষিতা হয়। প্রতি ঘন্টায় একটি মেয়েকে পণের জন্য তার শ্বশুর বাড়ির লোক খুন করে। এই রিপোর্ট যথেষ্ট চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। যখন উত্তরপ্রদেশ কান্ডে কার্যত গোটা দেশ উত্তাল, তখন এই রিপোর্ট মানুষের ক্ষোভকে আরও দ্বিগুণ করে দিয়েছে, তা বলাই যায়।

Advertisement
Advertisement

এখানেই শেষ নয়। এনসিবির এই চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট আরোও কিছু তথ্য দিয়েছে। যা জানলে আপনি অবাক হবেন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রতি চার মিনিট অন্তর এ দেশে একটি মেয়ে তার শ্বশুর বাড়ির লোক ও স্বামীর দ্বারা লাঞ্ছিত, অত্যাচারিত হয়। এ দেশে প্রতি দু’দিন অন্তর একটি মেয়ের ওপর অ্যাসিড আক্রমণ হয়। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে প্রতি ৩০ ঘন্টা অন্তর দেশে একটি মেয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়। প্রতি দু’ঘণ্টা অন্তর এ দেশে একটি মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় এবং প্রতি ছ’মিনিটে একটি মেয়ের ওপর এ দেশে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করা হয়।

Advertisement

এনসিবির রিপোর্ট শুধু নারী অত্যাচার নিয়ে নয়। নারী পাচার নিয়েও কথা বলেছে। এই রিপোর্ট বলছে, ভারতে প্রতি চার ঘণ্টা অন্তর একটি মেয়ে পাচার হয়ে যায়। এনসিবি এই রিপোর্টে যা যা চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেশের মেয়েদের নিরাপত্তা কোথায়? কাদের হাতে দেশের ভার দেওয়া হয়েছে? এই প্রশ্নও কিন্তু উঠেছে আম জনতার মধ্যে। যে দেশে মেয়েরা পুরুষদের সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে কাজ করছে, মহাকাশে যাচ্ছে, মন্ত্রিত্ব সামলাচ্ছে, সে দেশে রাতের অন্ধকারে কার্যত মেয়েদের সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি করার যে রেকর্ড এনসিবি প্রকাশ করেছে, তা যথেষ্ট উদ্বেগ বাড়াছে মেয়েদের মনে, তা বলাই যায়। এর শেষ কি কোনদিনও হবে না? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের মনে। যার উত্তর হয়তো কারোও জানা নেই।

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button