ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ তার ভাই ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে কূটনৈতিক পথে উত্তেজনা প্রশমনের পরামর্শ দিয়েছেন। পাহালগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতের ইন্দাস জলচুক্তি স্থগিত করার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে নওয়াজ শরিফ লন্ডন থেকে পাকিস্তানে ফিরে আসেন এবং জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকে অংশ নেন।
কূটনৈতিক সমাধানের আহ্বান
নওয়াজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে কূটনৈতিক উপায়ে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা প্রশমনের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, “আমরা কূটনৈতিক চ্যানেল ব্যবহার করে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করব।”
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowঅতীতের অভিজ্ঞতা ও শিক্ষা
নওয়াজ শরিফ অতীতে ভারতের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্কের পক্ষে ছিলেন। তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৯৯ সালে তার সরকার কারগিল যুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, যার ফলে তার সরকার পতিত হয়। তিনি বলেন, “আমরা লাহোর ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেছিলাম, কিন্তু পরে তা লঙ্ঘন করেছি; এটি আমাদের ভুল ছিল।”
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ পথ
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির ফলে আন্তর্জাতিক মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও দুই দেশের মধ্যে সরাসরি সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন। নওয়াজ শরিফের কূটনৈতিক আহ্বান এই প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQ)
প্রশ্ন ১: নওয়াজ শরিফ কেন পাকিস্তানে ফিরে এসেছেন?
উত্তর: ভারতের ইন্দাস জলচুক্তি স্থগিত করার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি পাকিস্তানে ফিরে এসে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকে অংশ নেন।
প্রশ্ন ২: তিনি প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে কী পরামর্শ দিয়েছেন?
উত্তর: তিনি কূটনৈতিক উপায়ে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা প্রশমনের পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রশ্ন ৩: নওয়াজ শরিফ অতীতে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কী বলেছেন?
উত্তর: তিনি বলেছেন, তার সরকার কারগিল যুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল এবং লাহোর ঘোষণাপত্র লঙ্ঘন করেছিল, যা তাদের ভুল ছিল।
প্রশ্ন ৪: আন্তর্জাতিক মহল কী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে?
উত্তর: যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক মহল দুই দেশের মধ্যে সংলাপ ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে।
প্রশ্ন ৫: এই পরিস্থিতিতে ভবিষ্যতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে?
উত্তর: কূটনৈতিক চ্যানেল ব্যবহার করে দুই দেশের মধ্যে সংলাপ ও উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করা হতে পারে।