একটা সময় পর্যন্ত বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে অত্যন্ত জনপ্রিয় নাম ছিল অক্ষয় কুমার এবং রবীনা টন্ডনের জুটির। তাদের দুজনের প্রচুর সিনেমা বলিউড হিট হয়েছে। রবিনা টন্ডন বলিউড সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী এবং এই মুহূর্তে শুধুমাত্র বলিউড নয় দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমাতেও তিনি ব্যাপক অভিনয় করছেন। সম্প্রতি তাকে দেখা গেল দক্ষিণ ভারতীয় তারকা অভিনেতা যশ অভিনীত কেজিএফ চ্যাপটার টু সিনেমায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করতে। সেই চরিত্রটিও তিনি দারুণ ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন নিজের অভিনয় দক্ষতার মাধ্যমে। এই মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়াতে চর্চার বিষয় হয়ে রয়েছেন রবিনা টন্ডন।
তবে আজকে আমরা আপনাকে জানাবো অক্ষয় কুমার এবং রবিনা টন্ডন এর কিছু এমন ব্যক্তিগত কথা, যা হয়ত আপনি আগে শোনেননি। তাদের দুজনের অভিনয় ক্যারিয়ারের বেশ প্রথমদিককার কথা। সেই সময় সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত হয়েছে মোহরা চলচ্চিত্রটি। এই চলচ্চিত্রে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন রবিনা টন্ডন এবং ছিলেন অক্ষয় কুমার। আর সেই মুভির সেট থেকে কিছু এমন গোপন কথা সকলের সাথে শেয়ার করলেন অভিনেত্রী রবিনা টন্ডন। এই সমস্যার কথা জানলে হয়তো আপনি বুঝতে পারবেন এই গানের শুটিং করার সময় অক্ষয় কুমার কত টাকা নিজের মন মর্জিমত রবীনা ট্যান্ডনকে দিয়ে কাজ করিয়ে ছিলেন।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowমাত্র ৩.৭৫ কোটি টাকা বাজেট নিয়ে তৈরি করা এই সিনেমা ২২.৬৫ কোটি টাকা আয় করেছিল সেই যুগেও। এই একটি ছবির সাফল্যের পর অক্ষয় এবং রবিনা দুজনেরই ক্যারিয়ার একেবারে মধ্যগগনে পৌঁছে যায়। তবে, এই মোহরা সিনেমার সব থেকে বড় আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ছিল অক্ষয় কুমার এবং রবীনা টন্ডনের অভিনীত গান টিপ টিপ বরসা পানি। বেশ কয়েক দশক হয়ে গেলেও এই গান এখনো সমানভাবে জনপ্রিয়। যে কোন পার্টিই হোক কিংবা কোন অনুষ্ঠান, এই গানটি একেবারে মাস্ট। রোমান্টিক গানটি একটা সময় জনপ্রিয়তার সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল। যদিও, খুব কম মানুষই জানেন এই একটি গান রেকর্ড করতে সময় লেগেছিল প্রায় চার দিন। এই গানটির শুটিং করতে গিয়ে রবীনা টন্ডনকে নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। সম্প্রতি রবীনা নিজেই এই বিষয়টি সকলের সামনে খোলসা করলেন।
একটি প্রতিবেদন অনুসারে, রবীনা নিজেই জানিয়েছেন, একটি নির্মীয়মান বাড়িতে শুটিং করা হয়েছিল এই টিপ টিপ বর্ষা পানি গানটির। তিনি বলছেন, “এই গানটির শুটিং করার সময় অনেক নুড়িপাথর আমার পায়ে বিঁধে যাচ্ছিল। এছাড়াও বৃষ্টির জন্য যে ট্যাংকের জল ব্যবহার করা হয়েছিল, সেটাও ছিল অত্যন্ত ঠান্ডা। বারবার জলে ভিজে যাওয়ায় আমার প্রচন্ড সর্দি লেগে ছিল এবং আমার জ্বরও হয়েছিল।”
তিনি আরো জানাচ্ছেন, “আমার প্রচন্ড জ্বর হয়েছিল এবং এই কারণে আমার পুরো শরীর একেবারে আগুনের মতো জ্বলছিল। শীতে থেকে বাঁচার জন্য আমি শুটিংয়ের সেটে বারবার আদা চা পান করছিলাম। এছাড়াও, আমাকে এই গানে একবার হাঁটু মুড়ে বসে গোল গোল ঘুরতে হয়েছিল, এই দৃশ্যটির শুটিং করার সময় আমার হাঁটুর চামড়া একেবারে ছড়ে গিয়েছিল। এমনকি আমার সেই সময় পিরিওডস চলছিল। কিন্তু তবুও সেই গানে আমাকে লাস্যময়ী দেখাতে হতো। এইসব করা আমার পক্ষে অত্যন্ত কঠিন ছিল। কিন্তু তারপরে যখন দেখি এই গান ব্যাপক হিট! তখন আমি অত্যন্ত খুশিও হয়েছিলাম এটা ভেবেই যে, আমার কষ্ট সফল হয়েছে।”