অসম : সম্প্রতি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনের জন্য বিজেপি সরকার আসামে এক সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। গত মঙ্গলবার এক অধিবেশনে আসাম সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে এবার থেকে কোনও ব্যাক্তির দুইয়ের বেশি সন্তান থাকলে ওই ব্যাক্তি সমস্ত রকম সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন, এমনকি সরকারি চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হবে ওই ব্যাক্তির নাম। ২০২১ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে এই আইন। আসামে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকে বহু নেতা এর সমর্থন করলেও বহু নেতা এর বিরোধিতা করেন।এই সিদ্ধান্তে মুসলিম সম্প্রদায়ের বহু সন্তান প্রজন্মের উপর যেনো আঘাত হানা হয় বলে মনে করেন বহু বিরোধী।
আসাম সরকারের এই সিদ্ধান্তে AIUDF অর্থাৎ ‘অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট’ এর প্রধান বদরুদ্দিন আজমল তীব্র বিরোধিতা করে বলেন, “ইসলাম কখনো দুটি সন্তান নেওয়ার ধারণায় বিশ্বাস করে না। যে পৃথিবীতে আসবে তার আসাটা কেউ জোর করে বন্ধ করতে পারবে না।” দুইয়ের অধিক সন্তান জন্ম দেওয়ায় সরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত করার প্রসঙ্গে বদরুদ্দিন আজমল জানান সরকার তাদের কোনো কর্মসংস্থান দেয়না এবং তারাও সরকারের কাছে কোনো চাকরির আশা করে না। তিনি তার সম্প্রদায়ের লোকদের উদ্দেশ্য করে বলেন যে তারা যেন তাদের ইচ্ছামতো সন্তানের জন্ম দেন এবং এই নিয়ে তাদের কোনো বাধা নেই। তিনি এই সন্তানদের যথার্থ শিক্ষিত করা কথা বলেন যাতে তারা নিজেরাই তাদের চাকরির সুযোগ করে নেয় এবং প্রয়োজনে হিন্দুদেরও ও যেন চাকরির সুযোগ করে দেয়।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowঅপরদিকে দিকে RSS এর প্রধান মোহন ভগত ৮-১০ সন্তান জন্ম দেওয়ার কথা বলেন। তার এই মন্তব্যে সরকার স্পষ্টভাবে জানান যে কোনও সরকারি চাকরি তাদের দেওয়া হবে এবারে তারা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিক কোনটা তারা চায় সরকারি চাকরি না বহু সন্তান।