লড়াই শুরু, পুরভোট জিততে বাংলায় বিজেপির ভরসা মুকুল-ই

Advertisement

Advertisement

আসন্ন বিধানসভা লড়াইয়ের আগে রাজ্যে পুরসভা নির্বাচন আর সেই লড়াইয়ে বিজেপির আশা, ভরসা মুকুল রায়। বৃহস্পতিবার পুর ভোট পরিচালনার ঘোষিত কমিটিতে কনভেনার পদে রাখা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সেকেন্ড ইন কমান্ডকে এবং কো-কনভেনার পদে তাঁর সহযোগী এবং রাজ্যের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সিং থাকছেন। কলকাতা পুরভোটকে ঘিরে বিজেপি দলের অন্দরে শুরু হয়ে গেছে প্রস্তুতি, কারণ বিধানসভা ভোটের আগে গেরুয়া দলের লক্ষ্য পুরভোট জয় করা। এই বছর এপ্রিল-মে মাসে ভোট হওয়ার সম্ভাবনা কলকাতা-সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি পুরসভায়।

Advertisement

তৃণমূলকে হারিয়ে নিজেদের স্থান বজায় রাখতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। নানা রকম প্ল্যান করছেন তারা দলের অন্দরে। যা দলের এক পক্ষ সমর্থন করছে আবার কেউ সমর্থন করছে না। মুকুল রায় এ বিষয়ে বলেছেন, কলকাতা পুরসভার ভোটকে যে তারা হেলাফেলা করছে না, সেটা সবার আগে এই শহরের মানুষকে বোঝাতে হবে। আর তাই দলের হেভিওয়েট নেতাদের টিকিট দেওয়া হতে পারে। তার মন্তব্যে সহমত পোষণ করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছন দলের বেশ কয়েক জন প্রথম সারির নেতা কলকাতা পুরভোটে লড়তে পারেন।

Advertisement

আরও পড়ুন : NPR দরিদ্র মানুষকে সরকারী প্রকল্পের সুবিধা দিতে সহায়তা করবে : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

Advertisement

তবে এমনটা হলে কিছু সমস্যাও হতে পারে যেমন দলের স্থানীয় নেতারা কলকাতার বিভিন্ন ওয়ার্ডে লড়বেন বলে আশায় আছেন, তাঁদের স্থানে উপরতলার নেতাদের টিকিট দিলে অন্তর্ঘাত হতে পারে। পুরভোটে ওই হেভিওয়েটরা যদি পরাজিত হয় তাহলে দলেরই মুখ নষ্ট হবে। পুরভোটে হেরে গেলে ওই হেভিওয়েটদের গায়ে ‘হেরো প্রার্থী’ তকমা লেগে গেলে বিধানসভা ভোটে লড়া কঠিন হবে তাদের জন্য এমনটাই মনে করছেন দলের একাংশ। তবে এর আগে কলকাতা পুরভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দলের বেশ কয়েক জন হেভিওয়েট নেতাকে ভোটে লড়িয়েছিলেন যেমন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ও কাকলি ঘোষ দস্তিদার যারা পরাজিত হলেও সেইকারণে পরবর্তী সময়ে তৃণমূলের উত্থানে কোনো সমস্যা হয়নি।