নয়াদিল্লি: সম্প্রতি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন জো বাইডেন। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্পর্ক কীরকম হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক সবসময়ই বন্ধুত্বপূর্ণ। তাই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আসনে যিনি বসেন, তাঁর সঙ্গে এ দেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে। আর বাইডেনের ক্ষেত্র তার অন্যথা হবে না বলেই রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করেছে। আর এই মনে হওয়াকে আংশিকভাবে সত্যি প্রমাণিত করলেন বাইডেন এবং নরেন্দ্র মোদি দুজনেই। জানা গিয়েছে, আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে ইতিমধ্যেই ফোনে কথা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী এবং নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের।
ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত সম্পর্ক যাতে আরও জোরদার হয়, সেদিকেই আগ্রহী প্রধানমন্ত্রী এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট দুজনে। বিদেশমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন আরও একবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য জো বাইডেনকে শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এমনকি ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে তিনি অভিনন্দন জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত সম্পর্ক জোরদার করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। জানা গিয়েছে, করোনা থেকে ভারতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় সমন্বয় সবকিছুর ক্ষেত্রেই দুজনে সম্মতি প্রকাশ করেছেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৪ এবং ২০১৬ সালে মার্কিন সফরে গিয়েছিলেন মোদি। সেই সময়ে বাইডেনের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়েছিল। এদিনের কথোপকথনে সেই প্রসঙ্গও উঠে আসে বলে বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, এদিন একাধিক ইস্যু নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথোপকথন হয়, যা পরবর্তীকালে দু’দেশের মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।