‘পঙ্কজ ত্রিপাঠী’ এই মুহূর্তের সেরার সেরা অভিনেতাদের মধ্যে একজন। ‘স্যাক্রেড গেমস’ এর খান্না গুরু জি চরিত্র হোক বা ‘মির্জাপুর’ এর আখন্দানন্দ “কালীন ভাইয়া” ত্রিপাঠি সবেতেই মাত দিয়েছেন। এই দুই সিনেমার দৌলতে খুব পরিচিত মুখ পঙ্কজ ত্রিপাঠী’র। এমনকি ‘মির্জাপুর ২’ তেও রয়েছেন পঙ্কজ ত্রিপাঠী সহ আলি ফজল, দিব্যেন্দু, শ্বেতা ত্রিপাঠী শর্মা, রসিকা দুগল, হর্ষিতা শেখর গৌর, অমিত সিয়াল, প্রমুখ। এবার যদি ধীরে ধীরে পিছনে তাকাই, তবে দেখতে পাওয়া যাবে যে ২০০৪ সালে রান এবং ওমকারের ছোটখাটো চরিত্রের অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন পকজ। এরপর, ২০১২ সালে গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর চলচ্চিত্র সিরিজে তার নেতীবাচক ভূমিকায় তাঁকে দেখা গিয়েছিলো। ২০১৮ র মুভি স্ত্রী তেও দেখা গিয়েছিলো তাঁকে। এখনও পর্যন্ত ৪০ টিরও বেশি চলচ্চিত্র এবং ৬০ টি টেলিভিশন শোতে কাজ করেছেন তিনি। তবে সাফল্য এসে ধরা দেয় ‘মির্জাপুর’ এর হাত ধরে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowজনপ্রিয়তার কারণে বিভিন্ন মহলে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন যে অভিনয়ে আসার আগে জুতো বেচতেন পঙ্কজ নিজে।
ভগবানকে ধন্যবাদ জানিয়ে সেই সাক্ষাৎকারে পঙ্কজ বলেছিলেন যে তিনি নাকি গ্রামে মানুষ হওয়া ছেলে। মাথা নিচু করে শ্রদ্ধা কীকরে করতে হয় তা তিনি জানেন।
কালিম ভাইয়ের বজ্রকঠিন, হিংস্রতার মধ্যেও যে একটি অতি সাধারণ মানুষ লুকিয়ে আছে তা তাঁর সাক্ষাৎকার থেকেই বোঝা যায়।
পঙ্কজের মতে ভাল অভিনেতার নাকি কোনও রুলবুক নেই। জাত অভিনেতা যা দেখে, পড়ে ও শোনে, তা থেকেই নিজের অস্ত্র তৈরি করে।
দুইবার ন্যাশানাল স্কুল অফ ড্রামা National School of Drama থেকে বিতারিত হয়েছেন। এরপর গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেন। পরবর্তীতে বন্ধু ভানু উদয়ের একাধিকবারের ডাকের পর মুম্বাই আসেন পঙ্কজ।
অভিনেতার আরেকটু গভীরে ঢুকলে জানাতে পারবেন যে তিনি কতটা অক্লান্ত পরিশ্রম করতেন একটা সময়ে। হ্যাঁ, অভিনয়ে আসার আগে জুতোর ব্যবসা করতেন তিনি। কলকাতা থেকে পটনায় জুতো কিনে নিয়ে যেতেন তিনি। অর্ডার সাপ্লাইয়ের কাজ। সেইসময় সাতাশ হাজার টাকা ইনভেস্ট করেছিলেন জুত বিক্রির কাজে। পুরোটাই লসে যায় বলে জানান অভিনেতা। গ্রামের বাড়িতে থেকে এখনও লড়াই চালিয়া যাওয়া ৪৪ এর পঙ্কজ ত্রিপাঠী এখন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে।