শ্রেয়া চ্যাটার্জি – মধ্য নরওয়ের কাছে প্রত্নতাত্ত্বিকরা মাটির তলা থেকে ভাইকিং সভ্যতার সন্ধান পেলেন। একশোরও বেশি সংরক্ষিত জিনিস পাওয়া গেল হিমবাহ গলে যেতেই। তবে এই ঘটনাটি অন্য দিক থেকে ভাবলে যথেষ্ট দুঃখজনক, কারণ হিমবাহ গলে যাচ্ছে বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য। যা আমাদের পরিবেশের জন্য খুবই খারাপ। যে সমস্ত প্রত্নবস্তু পাওয়া গেছে, তা থেকে ধারণা করা হচ্ছে এই সময়টি লৌহ যুগ থেকে শুরু করে ইউরোপীয় মধ্যযুগ পর্যন্ত। লোমসেজ্ঞেন এর জায়গাটি ভর্তি রয়েছে প্রত্নবস্তুতে।
তবে প্রত্নতাত্ত্বিকরা রেডিও কার্বন পদ্ধতিতে এই অংশটির সময় নির্ধারণের চেষ্টা করছেন। লেন্ডব্রিনের এই জায়গাটি থেকে যে একশোটিরও বেশি প্রত্নবস্তু পাওয়া গেছে, তার মধ্যে অনেক গুলোই হল জৈব উপাদান নিয়ে বানানো, যা হিমবাহের মধ্যে বরফের সাথে আটকে ছিল। মোটামুটি এই সময় এর প্রত্নবস্তুগুলি ১২০০ বছরেরও আগের। এই স্থানটি প্রত্নতাত্ত্বিকদের চোখে পড়েছিল ২০১১ সালে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowনরওয়ের গ্লেসিয়ার আর্কিওলজিক্যাল প্রোগ্রামের লেখক এবং সহ – পরিচালক লার্স পিলো বলেন, “বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য পর্বতমালা থেকে ক্রমশ বরফ গলে যাচ্ছে, যার ফলে এই বরফের নিচে থাকা সভ্যতা মানুষের সামনে উঠে আসছে”।
বস্তুর মধ্যে দুটি নীল রঙের কাপড়ের টুকরো পাওয়া গেছে। দুটি কাপড়ের টুকরো পাওয়া গেছে, একটি সময়কাল ভাইকিং যুগ এবং অন্যটি সময়কাল মধ্যযুগ। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ টিরও বেশি কাপড়ের টুকরো পাওয়া যায়। এছাড়াও প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য ছুরি, যার কাঠের হাতল ছিল। কাপড়ের পাশাপাশি পাওয়া গিয়েছিল জুতো। চুরির পাশাপাশি পাওয়া গেছে কাঠের তৈরি ছুঁচ। এছাড়াও বরফের ভেতর থেকে উঠে এসেছে মোট বয়ে নিয়ে যাওয়া একটি ঘোড়ার খুলি।