কিছু কিছু যানবাহন এমন রয়েছে যেগুলি বছরের পর বছর ধরে মানুষের হৃদয়ে রাজত্ব করতে থাকে। এই গাড়িগুলোকে অনেক মানুষ বিশ্বাস করেন। মাইলেজ এবং স্পেস যাই হোক না কেন সবদিক থেকে এই ধরনের গাড়ি মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছে বছরের পর বছর ধরে। আর এই তালিকায় সবথেকে বেশি পাওয়া যায় মারুতি সুজুকি কোম্পানির গাড়ি। এটি একটি এমন কোম্পানি যা তার নির্ভরযোগ্য গাড়ির ভিত্তিতে ভারতের সবথেকে জনপ্রিয় গাড়ি কোম্পানি হয়ে উঠেছে। গত ১৫ বছর ধরে এই গাড়ির কোম্পানিটি এমন একটি সেডান তৈরি করছে যা এখনো মানুষের হৃদয়ে রাজত্ব করছে। পারফরম্যান্সের পাশাপাশি এই সেডান দুর্দান্ত মাইলেজ এবং দুর্দান্ত বৈশিষ্ট্যের সাথে আসে। শুধু এটাই কিন্তু এই গাড়ির একমাত্র বিশেষত্ব নয়। এই গাড়িটিকে দেখার পর যে কেউ এই গাড়িটিকে প্রিমিয়াম গাড়ি থেকে কম কিছু বলবেনা। তবে এই গাড়ির দাম এবং লোক দেখে সবাই একেবারে হতবাক হয়ে যাবে। যেকোনো হ্যাচব্যাকের থেকে কম দামে আপনি এই গাড়িটি পেয়ে যাবেন। চলুন তাহলে এই গাড়িটির ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।আমরা আদতে কথা বলছি মারুতি সুজুকি ডিজায়ার গাড়িটির ব্যাপারে। এই গাড়িটিতে এমন কিছু ফিচার রয়েছে যা অন্য সেডানে এত কম দামে আপনি পাবেন না। প্রকৃতপক্ষে ২৫ লক্ষ্য ইউনিট বিক্রির অংক অতিক্রম করেছে মারুতি সুজুকি কোম্পানির এই গাড়িটি। অন্যদিকে দেখতে গেলে অন্যান্য গাড়ি এখনও পর্যন্ত ১০ লক্ষ্য ইউনিট বিক্রিও করতে পারেনি। কোম্পানির সিইও এবং মার্কেটিং হেড শশাঙ্ক শ্রীবাস্তব বলেছেন, মারুতি সুজুকি কোম্পানির এই গাড়িটি সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, দুর্দান্ত বৈশিষ্ট্য এবং নতুন ডিজাইনের সাথে মানুষের কাছে ভালো পণ্য পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করে। ডিজায়ার কোম্পানির সবথেকে জনপ্রিয় সেডান গাড়ি এবং গ্রাহকদের এই অবিরাম বিশ্বাসের জন্য মারুতি সুজুকি কোম্পানি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।২০০৮ সালে চালু করা এই গাড়িতে আপনারা পেয়ে যাচ্ছেন ১.২ লিটারের একটি পেট্রোল ইঞ্জিন। এই গাড়িটি আপনাকে সিএনজি অপশন অফার করে থাকে। এই গাড়িটির মাইলেজ সম্পর্কে কথা বলতে গেলে পেট্রোলে প্রতি লিটারে আপনি ২৫ কিলোমিটারের মাইলেজ পেয়ে যাবেন। অন্যদিকে এই গাড়ির সিএনজি ভেরিয়েন্ট ৩৪ কিলোমিটার প্রতি কেজি মাইলেজ আপনাকে দিয়ে থাকে। এই গাড়িটির প্রাথমিক ভেরিয়েন্টের দাম ৬.৫২ লক্ষ টাকা এবং এর শীর্ষ ভেরিয়েন্টের দাম ৯.৩৯ লক্ষ টাকা। এগুলি এর এক্স শোরুম দাম।