‘অভুক্ত অবস্থায় রাত কাটিয়েছি শুধুমাত্র স্বপ্ন পূরণের জন্য’, মুখ খুললেন মিস ইন্ডিয়া মান্যা সিং

Advertisement

Advertisement

মিস ইন্ডিয়া সেকেন্ড রানার আপ হওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন মান্যা সিং (Manya singh)। সংবাদমাধ্যমের অসংখ্য কৌতূহলী চোখের সামনে তিনি বললেন তাঁর জীবনযুদ্ধের কাহিনী। মুম্বইয়ে জন্মগ্রহণ করলেও মান্যার বেড়ে ওঠা উত্তরপ্রদেশের হাটা কুশিনগর জেলার একটি ছোট্ট শহরে। বাবা ছিলেন পেশায় অটোচালক এবং মা গৃহবধূ। সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরাতো। মান্যা তখন ভয় পেতেন মিস ইন্ডিয়ার স্বপ্ন দেখতে। কিন্তু তবু কোথাও যেন তাঁর বিশ্বাস ছিল, একদিন এই দারিদ্র্য দূরে সরে যাবে।

Advertisement

মান্যার মা তাঁর সমস্ত সোনার গয়না বেচে মান্যাকে যতদূর পেরেছেন পড়িয়েছেন। একসময় বাড়ি থেকে পালিয়ে মুম্বই আসেন মান‍্যা। মুম্বইয়ের কান্দিভলীতে জন্মেছিলেন মান্যা। তাই প্রথমে তিনি সেই এলাকাতেই এসেছিলেন। মা-বাবার কথা ভেবে কষ্ট পেয়েছিলেন মান্যা। তাই একসময় বাবাকে ফোন করে কেঁদে ফেলেছিলেন। কিন্তু তাঁর কাছে আর উপায় ছিল না। বাবা-মাকে দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দিতে এবং নিজের গ্রুমিং-এর জন্য মান্যাকে মুম্বইতে আসতেই হতো। সেই সময় নিজের খরচ চালানোর জন্য একটি পিৎজার দোকানে হাউসকিপিং-এর কাজ করতেন। প্রতিদিন সেই দোকানে বাসন মাজা ও ফ্লোর ক্লিনিংয়ের কাজ করতেন মান্যা। এরপর তিনি একটি কল সেন্টারে কাজ পান। কল সেন্টারে কাজ করার সময় নিজেকে নিজেই গ্রুম করা শুরু করেন মান্যা।

Advertisement

ইংরেজিতে সাবলীল হলেও আজও কোনো প্রসঙ্গ ব্যাখ্যা করতে হিন্দিতেই কথা বলতে পছন্দ করেন মান্যা। মিস ইন্ডিয়ার মুকুট তাঁকে জীবনের প্রতি বড় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন বলে মনে করেন তিনি। মিস ইন্ডিয়া হওয়ার পর প্রাপ্ত অর্থ মান্যা তুলে দিতে চান মা-বাবার হাতে। মান্যা সিং, এক সত্যিকারের মিস ইন্ডিয়া যিনি প্রমাণ করে দিলেন দিনের শেষে আত্মবিশ্বাস জয়ী হয়।

Advertisement