বাংলার লক্ষ লক্ষ পরিবার যাঁরা সরকারি রেশন সুবিধার উপর নির্ভর করেন, তাঁদের জন্য বড় ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী ৩০ জুন ২০২৫-এর মধ্যে রেশন কার্ডের সঙ্গে e-KYC (ইলেকট্রনিক Know Your Customer) সম্পন্ন না করলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে রেশন পাওয়ার অধিকার।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য হল জনবণ্টন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনা এবং ভুয়ো বা অযোগ্য উপভোক্তাদের বাদ দিয়ে প্রকৃত উপভোক্তাদের কাছে রেশন পৌঁছানো। আগে এই সময়সীমা ছিল ৩১ মার্চ ২০২৫, কিন্তু সুবিধার্থে তা বাড়িয়ে জুনের শেষ পর্যন্ত করা হয়েছে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowe-KYC করার জন্য রেশন কার্ড ও আধার কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক। এটি করা যাবে দুটি উপায়ে — অনলাইন এবং অফলাইন। অনলাইনে ‘মেরা রেশন’ বা ‘আধার ফেস আরডি’ (Aadhaar Face RD) অ্যাপের মাধ্যমে আধার নম্বর ও OTP ব্যবহার করে সহজেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়। অন্যদিকে, যাঁদের ইন্টারনেট পরিষেবা নেই, তাঁরা নিকটবর্তী রেশন দোকান বা কমন সার্ভিস সেন্টারে (CSC) গিয়ে বায়োমেট্রিক যাচাইয়ের মাধ্যমে কাজটি করতে পারবেন।
সরকার জানিয়েছে, যাঁরা নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে e-KYC করবেন না, তাঁদের রেশন কার্ড বাতিল করা হতে পারে। ফলে সরকারি রেশন ছাড়াও অন্যান্য জনকল্যাণমূলক প্রকল্প থেকেও বঞ্চিত হতে পারেন তাঁরা।
এই অবস্থায় উপভোক্তাদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে—
e-KYC না করলে কী রেশন সুবিধা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে?
যাঁদের নাম ভুলবশত বাদ পড়েছে, তাঁরা কীভাবে ফেরত পাবেন রেশন সুবিধা?
অনলাইন প্রক্রিয়ায় কী কী ডকুমেন্ট লাগবে?
CSC-তে বায়োমেট্রিক না মিললে বিকল্প কী?
মোবাইল নম্বর আধারে লিঙ্ক না থাকলে কী হবে?
এই প্রশ্নগুলির উত্তর জানতে স্থানীয় রেশন অফিস অথবা CSC-র সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অনলাইন ব্যবহারকারীদের জন্য এনএফএসএ পোর্টালেও বিশদ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
অতএব, রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার লিঙ্ক করে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে e-KYC সম্পন্ন করা সকল উপভোক্তার জন্য জরুরি। এই প্রক্রিয়া শুধু সুবিধা পাওয়ার অধিকার সুরক্ষিত রাখে না, বরং জাতীয় জনবণ্টন ব্যবস্থার কার্যকারিতাও উন্নত করে।