“কখনও রামচিমটি, কখনও শ্যামচিমটি, কখনও গোবর্ধনচিমটি!”, বিজেপির দিকে কটাক্ষের তীর মমতার

Advertisement

Advertisement

বনগাঁর সভামঞ্চে দেখা গেল আগের সেই চেনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তার শারীরিক ভাষার মধ্যে সেই দেখা গেল সসেই ভোটের আগের মেজাজ। এইদিন সেখান থেকে নানা বিষয়কে ঘিরে কখনও নাম বলে, কখনও না বলে গেরুয়া শিবিরের দিকে বাক্যবাণ ছুঁড়ে দিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

বনগাঁর গোপালনগরে এইদিন প্রশাসনিক সভা থেকে প্রথমেই এনআরসি কে নিয়ে বাণ ছোঁড়েন তৃণমূল সুপ্রিমো। হুঙ্কারের সাথে তিনি বলেন, রাজ্যে বসবাসকারী সকলে এই রাজ্যের নাগরিক, এখানে এনআরসি করতে দেবেন না আপনারা। তিনি আরও বলেন,”আমরা এনআরসি, এনপিআর করতে দেব না। আমি নিজের আমার মায়ের জন্মদিন জানিনা। বাকিরা কি করে বলবেন। ওরা বাংলাকে গুজরাট বানাবে। আমরা তা হতে দেবনা। আপনারা হতে দেবেন না। মতুয়ারা এই দেশের মানুষ, এখানকার নাগরিক। তাদের এই রাজ্যে থাকতে নতুন করে কোনও কিছুর প্রয়োজন নেই।”

Advertisement

তারপর তিনি বলেন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে। সেখানে কৃষিজীবীদের উদ্দেশ্যে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন,এমন আইন কেন্দ্র থেকে তৈরি করা হয়েছে যে আইনে কৃষকরা সাধারণ আলুসেদ্ধ ভাত ও খেতে পারছেন না। এছাড়াও নানা বিষয়কে নিয়ে এইদিন বিজেপির সাথে রাজনৈতিক ভাবে লড়াই এর ডাক দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে নাম না করে এইদিন শাসক শিবিরের নেত্রী বলেন,”কখনও রামচিমটি, কখনও শ্যামচিমটি, কখনও গোবর্ধনচিমটি! এইরকম কেন?” বিজেপির বিরুদ্ধে এইদিন তিনি টাকা ছড়ানো এবং ভয় দেখানোর অভিযোগ ও তুলেছেন বলে সূত্রের খবর। ভয় না দেখিয়ে রাজনৈতিক ময়দানে লড়াই করার কথাও বলেন নেত্রী।

Advertisement

অন্য বিষয়কে ধীরে সভায় ছন্দ পতন ঘটে কিছুটা। মেজাজ হারিয়ে ফেলেন তিনি। সভাচলাকালীন কয়েকজন কিছু দাবি জানান মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। তিনি তাদের কথা শোনেন। এমন সব শেষে জানান,”আপনাদের দাবি থাকলে নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে জানান। যদি তা সম্ভব হয়, তবে নিশ্চয় মানা হবে। কিন্তু এভাবে সভার কাজ আটকাবেন না। তারপর নিজের বক্তৃতা চালিয়ে যান তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে সভার শেষে বোঝা যায়, যে প্ল্যাকার্ড তোলার বিষয়টিকে ঠিক ভাবে নেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভা শেষে তিনি বলেন,”কিছু মনে করবেন না। তবে আপনাদের মধ্যে কিছুজনের জন্য মন খারাপ হয়ে গেল।”

Recent Posts