কসবা টিকা কাণ্ডে গ্রেফতার দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তার বিরুদ্ধে পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করার। বিষয়টি নিয়ে তিনি এতটাই ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন যে দেবাঞ্জন কে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে পাঁচ হাজার বার উঠবস করানো উচিত বলে তার মন্তব্য। এই ঘটনা নিয়ে পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্রের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও, এই ধরনের অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, এমন শাস্তি দিতে হবে যেন পরবর্তীতে এরকম ভুল করার আগে মানুষ ১০০ বার ভাবে। পুলিশ যেন এই ঘটনায় কোনো রকম আপোষ না করে সেদিকে নজর রাখতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কসবার ঘটনায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অনুমান করছে পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে পুরসভার নিচুতলার কর্মীদের জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। ঘটনাটি শুধুমাত্র আর একটি জাল ভ্যাকসিন কাণ্ডে সীমিত নেই, বরং এটি একটি রাজনৈতিক ইস্যু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক দলের জন্য। সেই কারণে এই মামলার তদন্ত করার জন্য সিট গঠন করার ঘোষণা করেছেন পুলিশ কমিশনার।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowকলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মা বলেছেন, সৈকত ঘোষ এর নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছে লালবাজার। তারা এই মামলা তদন্ত করবে। ইতিমধ্যেই দেবাঞ্জন কে জেরা করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। তার গতিবিধি সম্বন্ধে জানা গিয়েছে বেশ খানিকটা। তার কাজকর্মের ধরন, কিভাবে তার উত্থান সবকিছু নিয়ে বেশ খানিকক্ষণ জেরা করেছে কলকাতা পুলিশ।
অন্যদিকে সূত্রের খবর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আজকে বাগরি মার্কেটে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে হেয়ার স্ট্রিট থানা এলাকার অন্তর্গত এই বাগরি মার্কেট থেকে নাকি দেবাঞ্জন প্রতিষেধক ওষুধ কিনে নিয়ে গেছিল। তবে তন্ন তন্ন করে খোঁজার পরেও বাগরি মার্কেট এলাকা থেকে আসল বা নকল কোনরকমে করোনা প্রতিষেধক পাওয়া যায়নি। দেবাঞ্জন কে আরো একবার জেরা করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়াও রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে ওই দুই এলাকায় যারা ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই মিমি চক্রবর্তী, যিনি ওই ক্যাম্পে গিয়ে ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছিলেন, তার বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা গিয়েছে। তাই আর কোনরকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর।