রাজ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাংগঠনিক কাজকর্ম শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকে। কিন্তু ঠিক তার আগের দিন, অর্থাৎ বুধবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করলেন রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণির সঙ্গে। তাদের সমস্ত প্রয়োজন শুনে সেগুলির তৎপরতার সঙ্গে সমাধান করার আশ্বাসও দিয়ে এলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে, বুধবার তিনি আবারও মনে করিয়ে দিলেন, মতবাদ এর সঙ্গে তার সম্পর্ক অনেক দিনের। সবথেকে বড় কথা, মতুয়াদের বাড়ি তিনি সবার আগে গিয়েছিলেন। সেই মন্তব্যের পরেই আবার আবারো নতুন করে তাপমাত্রার পারদ চড়তে শুরু করলো বঙ্গ রাজনীতিতে।
এদিন মমতা বলেন,” আমি মতুয়াদের বলবো, এখন যারা উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন, তারা জানেন না বড়মা যতদিন বেঁচে ছিলেন ততোদিন তার সমস্ত দেখা শোনা আমি করতাম। আমার সঙ্গে বড়মার সম্পর্ক বহুদিনের। প্রায় ২০ থেকে ২৫ বছর আমি বড়মার সেবা করেছি। মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলতেন এবং আমি গিয়ে বড়মার সেবা করতাম। মতুয়াদের বাড়িতে আমি প্রথম গেছিলাম। আমি ঠাকুরবাড়ির সামনে রেলস্টেশন করে দিয়েছি। এছাড়াও আমি প্রমথনাথ ঠাকুরের নামে কলেজ স্থাপন করেছি।”
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowতিনি আরো জানিয়েছেন,” আমি মতুয়াদের নমঃশূদ্র প্রকল্পটি গঠন করে তাদের ৫ কোটি টাকা দিয়েছি। ” শুধু এটুকু নয়, এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাউরি, দুলে এবং মাঝিদের জন্য আলাদা প্রকল্পের ঘোষণা করেন। এই প্রকল্পে তাদের ৫ কোটি টাকা দেওয়া হবে। এছাড়াও তফসিলি জাতি এবং নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্য জমির পাট্টা বিলি করেন মমতা এদিন।
বৃহস্পতিবার, বাকুড়ায় আদিবাসীদের অঞ্চলে যাবেন অমিত শাহ। সেখানে আদিবাসীদের বাড়িতে সারবেন মধ্যাহ্নভোজন। এর পরের দিন অর্থাৎ শুক্রবার তাঁর যাওয়ার কথা মতুয়া বাড়িতে। সেখানে গিয়ে তিনি মতুয়াদের বাড়িতে ভোজন করবেন। উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনে মতুয়াদের সম্পূর্ণ ভোট গিয়েছিল বিজেপির কাছে। বনগা আসন থেকে লোকসভায় জিতেছিলেন বিজেপির প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর।
এবারে বিধানসভা নির্বাচনেও মতুয়াদের ভোটব্যাংক একটি বড়ো ফারাক করতে পারে। গোটা উত্তর ২৪ পরগনার ভোট মানচিত্রে বড়ো একটি জায়গা দখল করে এই মতুয়া ভোট। তাই এই ভোটব্যাঙ্ক কে নিজের দখলে আনতে পারলেই অনেকটা পরিবর্তন করে ফেলা যাবে সমীকরণে। তাই এই ভোটকে নিজেদের দিকে টানার জন্য তৃণমূল এবং বিজেপি দুই দলই বর্তমানে ঘুটি সাজাতে ব্যস্ত।