Today Trending Newsনিউজপলিটিক্সরাজ্য

ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতেই ফের নন্দীগ্রাম সফরে যেতে পারেন “প্রার্থী” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

জনসংযোগ বাড়াতে নন্দীগ্রামে যাচ্ছেন বলে জানা যাচ্ছে

Advertisement
Advertisement

বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলি পূর্ণ উদ্যমে ভোট প্রচারের উদ্দেশ্যে মাঠে নেমে পড়েছে। শাসকদলের রাশ হাতে ধরেছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নির্বাচনের আগে সামনে দাঁড়িয়ে দলকে চালনা করছেন। এরইমধ্যে কিছুদিন আগে সবাইকে চমকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তিনি নন্দীগ্রামের প্রার্থী হয়ে লড়বেন। এই ঘটনার কিছুদিন কাটতে না কাটতেই ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন জনসংযোগ বাড়াতে শুভেন্দু গড় নন্দীগ্রামে ফের যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে নন্দীগ্রামে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement
Advertisement

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুদিন আগে নন্দীগ্রামে গিয়ে বলেছিলেন, “আমি এর আগে ২০১৬ সালে নির্বাচনের আগে নন্দীগ্রাম থেকে ইলেকশন ঘোষণা করেছিলেন। আজও আমি নন্দীগ্রামে এসেছি। নন্দীগ্রাম জায়গাটা আমার জন্য খুবই লাকি। তাই এবার আমি নন্দীগ্রাম থেকে নির্বাচনে লড়ব।” সেই সাথে তিনি হুংকার দিয়ে বলেছিলেন, “নন্দীগ্রাম থেকে ২০২১ এ ঘাসফুল শিবির জিতবে। নন্দীগ্রাম থেকে জেতার পালা শুরু হবে তৃণমূলের। বাংলার প্রতিটি আসনে জয়ী হবে শুধুমাত্র তৃণমূলের।” অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর নন্দীগ্রামে প্রার্থী হয়ে দাঁড়ানোর খুব একটা ভালো চোখে নেয়নি বিরোধী পক্ষ। বিশেষ করে শুভেন্দু গড়ে মমতার প্রার্থী হওয়া অস্বস্তিতে ফেলেছে বিজেপিকে।

Advertisement

আসলে বাংলা গেরুয়া শিবির কিছুদিন আগে দাবি করেছিল, শুভেন্দু গড় নন্দীগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেস বিধানসভা নির্বাচনে একটি আসনও পাবে না। সব আসন যাবে বিজেপিদের কাছে। তারা এও দাবি করেছিল, নন্দীগ্রামের মানুষ শুধুমাত্র শুভেন্দুকে চেনে। সেখানে তৃণমূলের কোন ক্ষমতা নেই। অবশ্য মমতার নন্দীগ্রাম সফরে জনজোয়ার তাদের কথা ভুল প্রমাণ করে দিয়েছে। এরমধ্যে শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ করে টুইট করে বলেছিলেন, “স্বাগতম দিদি। এর আগে ২১ বছর একসঙ্গে ছিলাম। এবার নন্দীগ্রামে আপনার সাথে সামনাসামনি দেখা হবে।” এছাড়াও শুভেন্দু অধিকারী মমতাকে হাফ লাখ ভোটে হারানোর দাবি করেছে। এই পরিস্থিতিতে মমতার ফেব্রুয়ারি মাসে জনসংযোগ বাড়াতে নন্দীগ্রাম সব রাজনৈতিক দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ হবে তা বলা বাহুল্য।

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button