‘পুতুলের মত বসেছিলাম, সুপারফ্লপ ক্যাজুয়াল বৈঠক’, ক্ষোভ প্রকাশ মমতার

মমতা ব্যানার্জির অভিযোগ যে তাঁর অনেক কথা বলার থাকলেও প্রধানমন্ত্রী তাকে এক সেকেন্ড কথা বলার সুযোগ দেননি

Advertisement

Advertisement

একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের আগে থাকতেই কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত বারংবার খবরের শিরোনামে উঠে আসে। কিন্তু এই ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও এই সংঘাত প্রকট হচ্ছে। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার কোভিড পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য ভার্চুয়াল বৈঠক দেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও জেলাশাসক ছিলেন। আজকের বৈঠকে মোদি মমতার মুখোমুখি হওয়া তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করেছিলেন রাজনৈতিক মহল। কিন্তু বৈঠক শেষে মমতার গলায় ক্ষোভের সুর শোনা গেল। তার অভিযোগ যে তাকে বৈঠকে কথাই বলতে দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। তিনি কটাক্ষ করে বলেছেন, “এটা একটা ফ্লপ ক্যাজুয়াল বৈঠক। আমাকে এক সেকেন্ডের জন্য কথা বলতে দেওয়া হলো না, এত অবহেলা!”

Advertisement

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ বৈঠকের পর জানিয়েছেন যে মুখ্যমন্ত্রীদের গুরুত্ব দেওয়ার জন্য জেলাশাসককে এই দিনের বৈঠকে বসাননি তিনি। এই অতিমারি পরিস্থিতিতে আমরা প্রত্যেকেই রাজ্যের দাবি-দাওয়া নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলাম। কিন্তু কোন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে দেওয়া হয়নি। আমারা পেপার ওয়ার্ক করে রেখেছিলাম। কিন্তু আমাদের এক সেকেন্ডের জন্য কথা বলতে দেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র কয়েকটি বিজেপি শাসিত রাজ্যের জেলাশাসকদের বলতে দেওয়া হল। তারপর নিজেই বক্তব্য রেখে বৈঠক শেষ করলেন। কী বক্তব্য রাখলেন কিছুই বোঝা গেল না। বলে গেলেন করোনা নাকি কমে গেছে!

Advertisement

এছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী বৈঠক ডেকে রাজ্যের ভ্যাকসিন পরিস্থিতি বা ওষুধ আছে নাকি বা অক্সিজেনের ঘাটতি আছে নাকি তা জানার প্রয়োজন মনে করলেন না। বারংবার বিভিন্ন রাজ্য ভ্যাকসিন চাইছে। ভেবেছিলাম আজকের বৈঠকে ওনাকে বলব ভ্যাকসিন দিন। আমরা ১ কোটি ২০ লাখ ভ্যাকসিন পেয়েছি। আরও ২৪ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়ার কথা ছিল। ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। এর জবাব কে দেবে? প্রধানমন্ত্রীর মুখ লুকিয়ে চলার চেষ্টা করছেন। আর এত অবহেলা করছেন কেন। যদি কথা বলতে দেবেন না তাহলে ডাকা হল কেন?”

Advertisement

Recent Posts