নিউজপলিটিক্সরাজ্য

‘শুভেন্দুর মত মুকুল খারাপ নয়’, প্রাক্তন সঙ্গীর প্রতি সুর নরম মমতার

মুখ্যমন্ত্রী আজ নন্দীগ্রামে পরপর তিনটি জনসভা করেছেন

Advertisement
Advertisement

একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির প্রস্তুতি তুঙ্গে। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের জন্য প্রার্থীরা শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে নিচ্ছে। ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী একাধিক জনসভা করেছেন। তারই মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ পরপর তিনটি সভা করেছেন নন্দীগ্রামে। কিন্তু সেই জনসভা থেকে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী বিরুদ্ধে গলায় সুর তুললেও আজ মুখ্যমন্ত্রী মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে গলার সুর একটু নরম করেছেন। তিনি বলেছেন, “মুকুল শুভেন্দুর মত খারাপ নয়।”

Advertisement
Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ নন্দীগ্রামের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কটাক্ষ করে বলেছেন, “আমি আগেও জানতাম ও এধার-ওধার করছে। অবশ্য ও নিজেও স্বীকার করেছে যে ও বিজেপির সাথে যোগাযোগ ২০১৪ সাল থেকে। তার মানে এটাই দাঁড়ায় যে ২০১৫-২০২০ প্রায় পাঁচ বছর শুভেন্দু অধিকারী বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে। তাও এটা ভালো হয়েছে যে নির্বাচনের আগে মীরজাফর দল ছেড়ে বেরিয়ে গেছে। রেজাল্ট বেরোলে বুঝে যাবে বিশ্বাসঘাতকরা।” এছাড়াও বিজেপি প্রার্থী তালিকায় দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে বলেছেন, “ওদের পুরনো দলীয় কর্মীরা কেউ টিকিট পেল না। ওরা গেরুয়া বস্ত্র পরে এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে। সায়ন্তন আমার নামে এত বাজে কথা বলত, ও টিকিট পেল না। জয়প্রকাশ টিকিট পেল না। তৃণমূলের লোক ধার করে দল বানিয়েছে। কোন কারণে বিজেপি জিতে গেলেও এই দল টিকবে তো?”

Advertisement

অন্যদিকে আজ মুখ্যমন্ত্রীর গলায় মুকুল রায়ের প্রতি সুর ছিল বেশ নরম। তিনি বলেছেন, “শুভেন্দুর মত মুকুল অতোটা বাজে নয়। মুকুল থাকে কাঁচরাপারায়। ওর এলাকা হল ব্যারাকপুর, জগদ্দল ও ভাটপাড়া। কিন্তু ওকে প্রার্থী করে পাঠিয়েছে কৃষ্ণনগরে। তবে ও শুভ্যেন্দুর মতো খারাপ নয়। এটা আমি বলবো।” এছাড়াও দুদিন আগে আরেকবার মুকুল রায় নাম নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রাম অপারেশন সূর্যোদয় প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, “শিশির শুভেন্দু মিশনের সময় বাড়ি থেকে বেরোওনি। সাক্ষী আছে মুকুল রায়। সে আমাদের সাথে সারাক্ষণ ছিল।” নির্বাচন প্রাক্কালে মুকুল রায়ের নাম এতবার মুখ্যমন্ত্রী নেওয়াতে রীতিমতো বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে।

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button