একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গেছে। এই মুহূর্তে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দল পূর্ণ উদ্যমে ভোট প্রচার করছে। প্রথম দফা নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর গোটা বঙ্গবাসী মহাযুদ্ধের জন্য অপেক্ষা করছে। আগামী ১ লা এপ্রিল নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচন হতে চলেছে যাতে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপির পক্ষে প্রার্থী হয়েছেন নন্দীগ্রাম ভূমিপুত্র শুভেন্দু অধিকারী। এই নির্বাচনে যে হাইভোল্টেজ লড়াই হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে এরইমধ্যে নির্বাচনের আগে শেষ মুহূর্তে প্রচারে ঝড় তুলতে আহত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত রবিবার দোলের দিন নন্দীগ্রামে উপস্থিত হয়েছিলেন। সেখানে তিনি রোয়াপাড়া তে দোল উৎসব পালন করেন এবং তারপর বিরুলিয়ায় জনসভায় যান।
মুখ্যমন্ত্রী এবার নন্দীগ্রামে গিয়ে জানিয়েছেন তিনি যদি আবার ক্ষমতায় আসেন তাহলে নন্দীগ্রামে একটি সিএমও ও ভূমিকন্যার বাড়ি বানাবেন। তিনি বলেছেন, “আমার একটা কাজের সিস্টেম আছে। আমার কালীঘাটের বাড়ির কাছে বীর্য কেন্দ্রের একটি সিএমও আছে। সেখানে সব সময় কাজ হয়। কোন দরকার পরলে মানুষ যদি আমার কাছে আসে তখন তারা ওই সিএমও অফিসে আসে। কিন্তু আমাকে সব সময় পায়না। কিন্তু তাদের কাজ হয়ে যায়। এবারের নির্বাচনে জিতলে নন্দীগ্রামে আমি একটি সিএমও অফিস বানাবো। আমি চাই যাতে সব কাজ ঠিকঠাক করে হয়ে যাক। যাতে বাংলার প্রত্যেকটি মানুষ পরিষেবা পায়।”
এছাড়াও তিনি এদিন জানিয়েছে, আমি বর্তমানে রোয়াপাড়াতে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছি। কিন্তু সেটি দোতলা বাড়ি। তাই পায়ে চোট নিয়ে আমি সেখানে উঠতে পারিনা। এখন পাশের একটি একতলা বাড়িতে আছি। কিন্তু ভবিষ্যতে আমার কালীঘাটের বাড়ীর আদলে একটি কুঁড়েঘর তৈরি করব নন্দীগ্রামে। সেখানেই থাকবো। সারাজীবন তো বাঁচবো না। যখন মরে যাবো দূরদূরান্ত থেকে লোক এসে “ভূমিকন্যার কুঁড়েঘর” দেখে যাবে।