নিউজপলিটিক্সরাজ্য

৭ জানুয়ারি শহীদ দিবসে নন্দীগ্রাম সফর বাতিল করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দুর সাংগঠনিক ক্ষমতায় ভয় পেয়ে গেলেন কি তিনি?

Advertisement
Advertisement

একুশে নির্বাচনের আগে শুভেন্দু ও শাসকদলের বাকবিতন্ডা ক্রমশ পারদ চড়াচ্ছে বঙ্গ রাজনীতিতে। শুভেন্দুর অমিত শাহ এর হাত থেকে দলীয় পতাকা নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করার পরই শাসক দলের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয় শহীদ দিবস অর্থাৎ ৭ জানুয়ারি শুভেন্দু গড়ে নন্দীগ্রামে জনসভা করবেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এখন দলীয় সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে, ঐদিন নন্দীগ্রাম যাওয়া বাতিল করেছেন দিদি। তার পরিবর্তে ওই দিন সভায় যাবেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী।

Advertisement
Advertisement

গত বৃহস্পতিবার কাঁথি এর সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী শাসকদলের বিরুদ্ধে তার ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেছিলেন, শুভেন্দুকে ঠেকাতে জোড়ায় জোড়ায় মন্ত্রী পাঠানো হচ্ছে আমার এলাকায়। শাসকদল বুঝে গেছে তা তো এখন কিছু হচ্ছে না। তাই আমি নিজেই মুখ্যমন্ত্রী আছে আমাকে ঠেকাতে। সেই সাথে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর শহীদ দিবসে নন্দীগ্রামের জনসভা করাকে কটাক্ষ করে বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী ৭ তারিখে নন্দীগ্রামে এসে পুলিশ দিয়ে লোক জড়ো করবে। আর আমি ৮ তারিখে ভালোবাসা দিয়ে জনসভায় লোক জড়ো করব।”

Advertisement

কিন্তু তারপরেই আজ শাসকদলের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়া হয়েছে, শহীদ দিবসের দিন নন্দীগ্রামে জনসভায় যেতে পারবেন না তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার বদলে জনসভায় উপস্থিত থাকবেন তৃণমূল নেতা সুব্রত বক্সি। এই নিয়েই বঙ্গ রাজনীতিতে ফের শুরু হয়েছে জল্পনা। হঠাৎই কেন মুখ্যমন্ত্রী তার নন্দীগ্রাম সফর বাতিল করলেন?

Advertisement
Advertisement

দিদি কেন নন্দীগ্রাম সফর বাতিল করলেন এর উত্তরে একাংশ মনে করেছে, শুভেন্দু দল ছাড়ছে সেই হুজুগে হঠাৎই মুখ্যমন্ত্রীর নন্দীগ্রাম সফর আয়োজন করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপর ভেবে দেখা হয়েছে এর মাধ্যমে শুভেন্দুকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। যার কোন দরকার নেই। অন্যদিকে আরেকাংশ ভেবেছে, শুভেন্দু গড় নন্দীগ্রামে লোক জড়ো করার মতো সাংগঠনিক ক্ষমতা শুভেন্দুর চেয়ে বেশি আর কারোর নেই। তাই এই মুহূর্তে নন্দীগ্রামের জনসভা থেকে পিছিয়ে আসাই ভালো।

Advertisement

Related Articles

Back to top button