Today Trending Newsনিউজরাজ্য

‘জো ডরতা হ্যায়, ওহী মরতা হ্যায়’, কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের মধ্যেই মমতার মুখে ‘শোলে’ ছবির ডায়লগ

কেন্দ্রীয় সরকারের নীতিকে কটাক্ষ করেই এই বক্তব্য মমতার

Advertisement
Advertisement

তার জেদ, সব কিছুর ব্যাপারে তার হার না মানা মনোভাব, তার ব্যক্তিত্ব সবকিছুই তাকে দেশের অন্যান্য মুখ্যমন্ত্রীদের থেকে একেবারে আলাদা করে রেখেছে। তিনি আর কেউ নন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এবারে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বেচ্ছাচারী মনোভাবের চরম কটাক্ষ করে, মমতা আজ এক নজিরবিহীন মন্তব্য করেন। রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে যে টানাপোড়েন এতদিন ধরে চলছিল তা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি দোলাচলে।

Advertisement
Advertisement

কোনো একটা রাজ্যের সবথেকে উচ্চ পদস্থ আমলাকে নিয়ে এরকমভাবে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত সত্যি ভারতের ইতিহাসে বিরল। সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে দিল্লি না গিয়ে নবান্নে গিয়ে অবসর গ্রহণ করেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এটাকে যদি কেন্দ্র এবং রাজ্যের সরাসরি সংঘাতের প্রথম রাউন্ড বলা যায়, তাহলে প্রথম রাউন্ডেই ব্যাকফুটে চলে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আলাপনের মেয়াদকাল শেষ হলেও, তাকে এখন নিজের ছায়াসঙ্গী হিসেবে রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এবারে মুখ্যসচিব নয়, তিনি হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা।

Advertisement

আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কেন্দ্র সরকারের স্বেচ্ছাচারী ভূমিকাকে সমালোচনা করলেন মমতা। তিনি প্রশ্ন তুললেন, রাজ্যের সবথেকে উচ্চপদস্থ আমলাকে নিয়ে এরকম কি করা যায়? মমতা বলছেন, কেন্দ্রীয় সরকার আসলে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ভেঙে দিতে চাইছে। এরপরেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে নিজেকে অকুতোভয় প্রমাণ করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, আপনারাতো আমলাতন্ত্রকে শেষ করে দিতে চাইছেন। তারপরে মুখ্যমন্ত্রীর গলায় শোনা গেল অমিতাভ বচ্চন এবং ধর্মেন্দ্র অভিনীত শোলে ছবির কালজয়ী ডায়লগ, ‘জো ডরতা হ্যায়, ওহ মরতা হ্যায়।’

Advertisement
Advertisement

পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারকে বুলডোজ করতে চাইছে। তার কন্সেন্ট ছাড়া রাজ্যের সবথেকে উচ্চ পদস্থ আমলাকে কিভাবে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়? এইভাবে হিউমিলিয়েট করা একদম ঠিক হচ্ছে না। আমলারা উচ্চপদস্থ অফিসার, আপনার ক্রীতদাস নয়। বাংলা সব সময় মাথা উঁচু করে চলে, এটা আমাদের নৈতিক জয়।”

Advertisement

Related Articles

Back to top button