শুভেন্দুর চ্যালেঞ্জ মঞ্জুর মমতার, শুধু নন্দীগ্রাম থেকেই লড়বেন মাননীয়া

ভবানীপুর কেন্দ্র ছেড়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার শুধুমাত্র নন্দীগ্রাম কেন্দ্রের প্রার্থী হয়ে নির্বাচনী লড়াই লড়বেন

Advertisement

Advertisement

নির্বাচন কমিশন একুশে বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দেওয়ার পর থেকে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি তাদের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের জন্য বারংবার বৈঠক করছে। এরইমধ্যে সূত্র মারফত খবর পাওয়া গিয়েছে যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের শুধুমাত্র নন্দীগ্রামেই প্রার্থী হয়ে দাঁড়াচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে আগে তার ভবানীপুর আসন থেকে লড়াই করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি তা করছেন না। আসলে আগে যখন মুখ্যমন্ত্রী ভবানীপুরের পাশাপাশি নন্দীগ্রামের প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন তখন বিরোধীপক্ষের শুভেন্দু অধিকারী বিদ্রুপ করে বলেছিলেন, “তৃণমূল নেত্রীকে একটা আসন থেকে প্রার্থী হতে হবে। তাকে আমি হাফ লাখ ভোটে হারাবো।”

Advertisement

এবার হয়তো তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীর চ্যালেঞ্জটা লুফে নিয়েছেন। দলীয় সূত্রে জানা গেছে যে এবার শুধুমাত্র নন্দীগ্রামের প্রার্থী হবেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত এর আগে নন্দীগ্রামের তেখালির সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুর প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “ভবানীপুর আমার বড় বোন। নন্দীগ্রাম মেজ বোন। আমি যদি নন্দীগ্রামে দাঁড়াই তাহলে কেমন হয়। আমার একটু মন যাচ্ছিল তাই বললাম। আমি ভবানীপুরকে উপেক্ষা করছি না। কাজ সামলে উঠতে পারলে নন্দীগ্রাম ও ভবানীপুর দুই জায়গার প্রার্থী হবো আমি।”

Advertisement

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২০১১ সালে ভবানীপুরের আসনটি সুব্রত বক্সী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য ছেড়ে দিয়েছিলেন। সেই আসনে উপনির্বাচনে জিতেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও গতবারের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুর থেকে ২৫ হাজারের বেশি ব্যবধানে বিরোধীপক্ষকে হারিয়েছিলেন। তবে উল্লেখযোগ্যভাবে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে মাত্র ৩১৬৮ ভোটে আগিয়ে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এবার বিরোধীরা কটাক্ষ করছে যে এবারে বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুরে মমতা হারের ভয়ে হয়তো প্রার্থী হতে চাইছেন না।

Advertisement

এছাড়াও নন্দীগ্রামের তেখালি থেকে মুখ্যমন্ত্রী যখন নন্দীগ্রামের প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তখন শুভেন্দু অধিকারী তার কথার তীব্র বিদ্রুপ করেছিলেন। শুভেন্দু অধিকারী তখন সবে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। নন্দীগ্রামের বিদায়ী তৃণমূল নেতা তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, “মমতা যদি চায় তাহলে একুশের নির্বাচনের নন্দীগ্রামের প্রার্থী হোক সে। এক জায়গাতে প্রার্থী হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ে দেখাক। আমার খোলা চ্যালেঞ্জ যে মমতা নন্দীগ্রামের প্রার্থী হলে আমি তাকে হাফ লাফ ভোটে পরাজিত করব।” এখন মনে হচ্ছে “বাংলার বাঘিনী” চ্যালেঞ্জে জেতার উদ্দেশ্যে মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।

Recent Posts