Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

পেট্রোল ও ইলেকট্রিক দুই উপায়ে চলবে এই বাজাজ অ্যাভেঞ্জার বাইক, জেনে নিন সহজ উপায়ে বানানোর পদ্ধতি

ভারতের বাজারে দৈনন্দিন মূল্যবৃদ্ধি এবং সেইসাথে পাল্লা দিয়ে পেট্রোল-ডিজেলের দাম সকল মধ্যবিত্তের প্রাণ ওষ্ঠাগত করে তুলেছে। তাই এমন পরিস্থিতির সাথে মোকাবিলা করার জন্য সবথেকে ভালো বিকল্প হিসেবে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে বৈদ্যুতিক…

Avatar

ভারতের বাজারে দৈনন্দিন মূল্যবৃদ্ধি এবং সেইসাথে পাল্লা দিয়ে পেট্রোল-ডিজেলের দাম সকল মধ্যবিত্তের প্রাণ ওষ্ঠাগত করে তুলেছে। তাই এমন পরিস্থিতির সাথে মোকাবিলা করার জন্য সবথেকে ভালো বিকল্প হিসেবে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে বৈদ্যুতিক স্কুটার বা ইলেকট্রিক ভেহিকেল। এই ধরনের ইলেকট্রিক স্কুটার যেমন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়া পেট্রোল-ডিজেলের দামের চিন্তা থেকে মুক্তি দেয়, ঠিক তেমনই এইসব স্কুটারগুলি মেইনটেনেন্সের দিক থেকে খুবই সস্তা। তবে আপনি কি জানেন, খুব সহজ উপায়ে আপনি আপনার পুরনো বাইককেও ইলেকট্রিক বাইকে রূপান্তরিত করে পেট্রোল ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির সমস্যা থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারেন। কিন্তু কি করে? জানতে হলে প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ছবি ব্যাপক ভাইরাল হচ্ছে যেখানে দেখা যাচ্ছে এক ব্যক্তি নিজের পুরনো বাজাজ অ্যাভেঞ্জার বাইকটিকে ইলেকট্রিক বাইকে পরিণত করেছে। তবে এক্ষেত্রে পুরনো পেট্রোল ইঞ্জিনকে খুলে নেওয়া হয়নি। এক কথায় বলা যেতে পারে ওই বাজাজ অ্যাভেঞ্জার বাইকে একদিকে যেমন পেট্রোল ইঞ্জিন রয়েছে অন্যদিকে ঠিক তেমনই ইলেকট্রিক মোটরও রয়েছে। এবার থেকে বাইকটি ইলেকট্রিক এবং পেট্রোল দুই উপায় চলতে পারবে। রাইডার নিজের প্রয়োজনমতো দুটি মোড অদল বদল করতে পারবেন।

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

এই পেট্রোল ইঞ্জিনের বাইককে ইলেকট্রিক বাইক করতে দরকার হবে শুধুমাত্র একটি ইলেকট্রিক কিট। হাইব্রিড গাড়ি বানানোর জন্য স্টাটআপ কোম্পানি Gogoe1 এই ইলেকট্রিক কিট বিক্রি করা শুরু করেছে। এই কিটের মধ্যে রয়েছে রিস্ট থ্রোটেল, ক্যাচের ডিস্ক, মাউন্ট প্লেট, কাপলার, ১৭ ইঞ্চির ব্রুসলেস মোটর ও রিজেনারেটিভ কন্ট্রোলার। এক্ষেত্রে পুরনো বাইকে কোনোরকম পরিবর্তন না করেই শুধু ইলেকট্রিক কিট লাগিয়ে নিলে আপনার বাইক হাইব্রিড বাইক হয়ে উঠবে।

ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ওই বাজাজ অ্যাভেঞ্জার বাইকটির সামনের চাকায় ব্রুসলেস মোটর লাগানো হয়েছে। ইলেকট্রিক মোডে চললে বাইকের সামনের চাকায় পাওয়ার থাকবে ও অন্যদিকে পেট্রল ইঞ্জিনে চললে পিছনের চাকায় পাওয়ার থাকবে। ওই স্টার্টআপ কোম্পানির দাবি, একবার চার্জ করে নিলে ইলেকট্রিক মোডে ওই বাইক প্রায় ৪৪০-৪৫০ কিলোমিটার চালানো যাবে। এছাড়া এই সময় টপ স্পিড হবে ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। শুধুমাত্র একটি সুইচ চেপে বাইককে ইলেকট্রিক মোডে বা পেট্রোল মোডে নিয়ে যাওয়া যাবে। এবার আপনি হয়তো মনে করবেন, ইলেকট্রিক কিট বেশ দামি হবে। কিন্তু জানিয়ে রাখি, এই ইলেকট্রিক কিট কিনতে মাত্র ২৭,৭৬০ টাকা খরচ করতে হবে। আপনিও যদি নিজের পুরনো বাইককে ইলেকট্রিক বানাতে চান, তাহলে অবশ্যই এই ইলেকট্রিক কিট কিনে নিন।

About Author