ভোররাতে গুলির লড়াইয়ে খতম ১৩ মাওবাদী, সাফল্যে খুশি মহারাষ্ট্র পুলিশ

সাতসকালে গোপন সূত্রে মাওবাদীদের উপস্থিতির খবর পেয়ে পুলিশি অভিযান চালিয়ে খতম করা হল ১৩ জন মাওবাদীকে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, মহারাষ্ট্রের গদচিরোলি জেলার এতাপল্লির জঙ্গলে ঘাঁটি গেড়েছিল নকশালরা। এই খবর…

Avatar

সাতসকালে গোপন সূত্রে মাওবাদীদের উপস্থিতির খবর পেয়ে পুলিশি অভিযান চালিয়ে খতম করা হল ১৩ জন মাওবাদীকে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, মহারাষ্ট্রের গদচিরোলি জেলার এতাপল্লির জঙ্গলে ঘাঁটি গেড়েছিল নকশালরা। এই খবর পেয়ে মহারাষ্ট্র পুলিশের সি ৬০ প্রশিক্ষিত জওয়ানরা অভিযানে নামেন। জানা যায়, মহারাষ্ট্রের গদচিরোলির পায়দী কোটমী জঙ্গলের কাছে একটি গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে তেন্দু পাতার চুক্তি নিয়ে দেখা করতে আসেন কাসানসুর সালামের মাওবাদী নেতারা। তারা ভোর রাতে চুপি চুপি দেখা করে পালানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আগে থাকতেই গ্রামের চারপাশে জঙ্গলে ঘাঁটি গেড়ে ছিল পুলিশ। তারা পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশের সাথে তাদের গুলির লড়াই শুরু হয়।

মহারাষ্ট্র পুলিশের সি ৬০ প্রশিক্ষিত জওয়ানরা বীর বিক্রমে গুলির লড়াই চালিয়ে যাওয়ার পর শেষমেষ মাওবাদীদের পরাস্ত করে। সংঘর্ষস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় তারা। এখনো অব্দি ঘটনাস্থল থেকে মোট ১৩ মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে এখনও এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে মাওবাদীদের দেহের পাশাপাশি কয়েকটি অস্ত্র, কিছু দৈনন্দিন জিনিসপত্র এবং সাহিত্যের বই উদ্ধার হয়েছে।

 

এই বিষয়ে ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ সন্দীপ পাতিল জানিয়েছেন, “এটা মহারাষ্ট্র পুলিশের বড় সাফল্য। আমরা মাত্র একদিন আগেই মাওবাদীদের উপস্থিতির খবর পাই। তখন থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে নি। ভোর থেকে গুলি লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জিত আমাদের হল। আরও নকশালের মৃত্যুর সম্ভাবনা রয়েছে। এখনো অব্দি ১৩ জনের দেহ পাওয়া গেছে। এটি আমাদের কাছে বিশাল সাফল্য।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১৩ মে এই অঞ্চলে নকশাল বিরোধী অভিযানে গিয়ে পুলিশের হাতে এক মহিলাসহ ২ নকশালির মৃত্যু হয়েছিল।