জুলাই মাসের প্রথম দিনেই এক বড়সড় স্বস্তির খবরে চমক দিল এলপিজি বাজার। ১৯ কেজির কমার্শিয়াল এলপিজি সিলিন্ডারের দাম এক ধাক্কায় কমানো হল ৫৮.৫০। যদিও গৃহস্থালির ১৪.২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দামে কোনও পরিবর্তন হয়নি। এর ফলে সাধারণ পরিবারগুলির ওপর প্রভাব না পড়লেও, হোটেল-রেস্তোরাঁ-ফুড সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রি খানিকটা হাঁফ ছেড়ে বাঁচবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এই নতুন মূল্যছাড় কার্যকর হয়েছে ১ জুলাই, ২০২৫ থেকে। দেশের চারটি বড় শহরে নতুন দাম অনুযায়ী দিল্লিতে ১৯ কেজির সিলিন্ডারের দাম দাঁড়িয়েছে ১,৬৬৫, মুম্বইয়ে ১,৬১৬, কলকাতায় ১,৭৬৯ এবং চেন্নাইয়ে ১,৮২৩.৫০। আগের দামের তুলনায় সব শহরেই ৫৮.৫০ করে কমানো হয়েছে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Now২০২৫ সালের এপ্রিল থেকে শুরু করে টানা চার মাস ধরে কমার্শিয়াল সিলিন্ডারের দামে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এপ্রিল মাসে দাম কমে ৪১, মে মাসে ১৪.৫০, জুনে ২৪ এবং এবার জুলাইয়ে ৫৮.৫০। এই চার মাসে মোট ₹১৩৮-এর মতো দাম কমানো হয়েছে। ব্যবসায়িক ব্যবহারের জন্য এটি একটি বড় সুবিধা হিসেবে দেখা হচ্ছে, বিশেষত যারা দৈনন্দিন রান্নার জন্য এই গ্যাস ব্যবহার করেন।
তবে গৃহস্থালি গ্যাস ব্যবহারে সেই অর্থে কোনও স্বস্তি নেই। ১৪.২ কেজির সিলিন্ডারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দিল্লিতে ৮৫৩ এবং মুম্বইয়ে ৮৫২.৫০ দামে এই সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে। ভারতের মোট এলপিজি ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশই গৃহস্থালিতে গ্যাস ব্যবহার করেন। বাকি ১০ শতাংশের মধ্যে পড়ে হোটেল, রেস্তোরাঁ, কেটারিং এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক সংস্থা। তাই এই দামের হ্রাস সাধারণ মানুষের প্রভাব ফেলছে না বললেই চলে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমে আসা—যেমন মে মাসে প্রতি ব্যারেল দাম দাঁড়ায় প্রায় $৬৪.৫—এর ফলে এই দাম হ্রাস সম্ভব হয়েছে। সরকার চাইছে, ব্যবসা-বাণিজ্য সচল রাখার জন্য গ্যাসের ব্যয় কিছুটা হলেও কমানো হোক।
FAQ (সাধারণ জিজ্ঞাসা):
১. কবে থেকে নতুন কমার্শিয়াল সিলিন্ডারের দাম কার্যকর হয়েছে?
→ ১ জুলাই ২০২৫ থেকে এই নতুন দাম চালু হয়েছে।
২. এই মূল্যছাড় কত কেজির সিলিন্ডারে হয়েছে?
→ ১৯ কেজির কমার্শিয়াল এলপিজি সিলিন্ডারে ৫৮.৫০ কমানো হয়েছে।
৩. গৃহস্থালি গ্যাসের (১৪.২ কেজি) দামে কী পরিবর্তন হয়েছে?
→ না, গৃহস্থালি সিলিন্ডারের দামে কোনও পরিবর্তন হয়নি।
৪. দাম হ্রাসের ফলে কোন খাত সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে?
→ হোটেল, রেস্তোরাঁ, কেটারিং সংস্থা ইত্যাদি উপকৃত হবে।
৫. আন্তর্জাতিক বাজারের কোন পরিবর্তনের ফলে এই মূল্যছাড় এসেছে?
→ অপরিশোধিত তেলের দাম কমে যাওয়ার ফলে এলপিজি উৎপাদন ব্যয় কমেছে, যার প্রভাব পড়েছে দামেও।