আজকের দিনে নিজের ব্যবসা শুরু করার স্বপ্ন অনেকেই দেখেন। কিন্তু মূলধনের অভাবের ভয়েই পিছিয়ে আসেন বহু মানুষ। অথচ মাত্র ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকায় এমন কিছু ব্যবসা করা সম্ভব, যেখানে মাসিক আয় হতে পারে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। বিশেষত গরিব ও মধ্যবিত্তদের জন্য এগুলি কার্যকর বিকল্প হিসেবে উঠে আসছে।
ফাস্টফুড ব্যবসা
বর্তমান সময়ে ফাস্টফুডের চাহিদা শহর থেকে মফস্বল—সব জায়গাতেই দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। একটি ছোট রেস্টুরেন্ট বা রাস্তার ধারের ঠেলা দিয়েই শুরু করা যায় এই ব্যবসা। মোমো, চাউমিন, বার্গার কিংবা রোলের মতো খাবারের উপর নির্ভর করে মাসে সহজেই ৪০ হাজার টাকার বেশি আয় সম্ভব।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowচায়ের ব্যবসা
ভারতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চায়ের জনপ্রিয়তা সবসময়ই সর্বাধিক। তাই কম খরচে শুরু করা যায় একটি চায়ের দোকান। আনুমানিক ২৫ হাজার টাকা বিনিয়োগে ভিড়-ভাট্টা এলাকায় চা বিক্রি করে প্রতিদিন প্রায় ১৫০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। মাসের হিসাবে এই ব্যবসা থেকে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা আয় হতে পারে।
মোমো বিক্রি
যুব সমাজের মধ্যে মোমোর জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে। খুব কম খরচে, আটা, সবজি আর সামান্য মশলা দিয়েই তৈরি হয় এই খাবার। একটি ছোট মোমোর ঠেলা দিয়ে সহজেই ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা মাসিক আয় করা যায়। বিনিয়োগ কম অথচ লাভের অঙ্ক তুলনামূলক বেশি হওয়ায় অনেকেই এই ব্যবসায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
পানিপুরি বিক্রি
পানিপুরি (গোলগাপ্পা) বরাবরই ভারতীয়দের প্রিয় স্ট্রিট ফুড। অল্প খরচেই শুরু করা যায় এই ব্যবসা। মাত্র ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা বিনিয়োগে ঠেলা চালু করে প্রতিদিন ১৫০০ টাকার বেশি আয় সম্ভব। মাসিক হিসাবে এই ব্যবসা থেকে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা সহজেই উপার্জন হতে পারে।
চাট ও চাউমিন
চাট ও চাউমিনের দোকান ছোট শহর থেকে বড় মেট্রো শহর—সব জায়গাতেই সমান জনপ্রিয়। খরচ তুলনামূলকভাবে কম এবং লাভের পরিমাণ বেশি হওয়ায় এটি একটি লাভজনক বিকল্প। সঠিক জায়গায় ব্যবসা শুরু করলে প্রতিদিন ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত লাভ সম্ভব, যা মাস শেষে দাঁড়াতে পারে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকায়।
কম পুঁজি দিয়েই ব্যবসা শুরু করার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা সম্ভব। ফাস্টফুড, চা, মোমো, নাশতা, পানিপুরি, চাট ও চাউমিনের মতো ব্যবসা গরিব এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণীর জন্য সত্যিই আশীর্বাদ। এতে ঝুঁকি তুলনামূলক কম, আর আয় প্রায় স্থির।