বলিউডবিনোদন

Mithu Mukherjee: বলিউডে জনপ্রিয়তা পাওয়ার লোভেই হারিয়ে গেলেন ইন্ডাস্ট্রি থেকে, মনে আছে মিঠু মুখার্জ্জীকে?

Advertisement
Advertisement

মাত্র ৩৫ বছরেই মিঠু মুখার্জ্জী ইতি টেনেছিলেন নিজের অভিনয় জীবনের। বাংলা ইন্ডাস্ট্রি থেকেই দর্শকদের মাঝে পরিচিত হয়েছিলেন অভিনেত্রী। ১৯৭১ সালে ‘শেষ পর্ব’ ছবির জন্য মনোনীত হয়েছিলেন তিনি। তবে প্রথম ছবি থেকে সেভাবে সাফল্য অর্জন করতে পারেননি মিঠু মুখার্জ্জী। তবে অভিনেত্রী হিসেবে দর্শকমহলের একাংশে নজর কেড়েছিলেন, তা বলাই বাহুল্য। তবে দ্বিতীয় ছবিতেই বাজিমাত করেছিলেন তিনি। আরব্য রজনীর ‘আলিবাবা চল্লিশ চোর’এর মর্জিনা মিঠু মুখার্জ্জী। এরপর ১৯৭৩’এ দিনেন গুপ্ত পরিচালিত ‘মর্জিনা আব্দুল্লাহ’ ছবিতে মর্জিনার চরিত্রে দেখা মেলে তার। আর তাতেই বাজিমাত করে দিয়েছিলেন মিঠু মুখার্জ্জী। তার অভিনীত সেই ছবি এখনো দর্শকদের মনের মনিকোঠায় রয়ে গিয়েছে।

Advertisement
Advertisement

মর্জিনার চরিত্রে অভিনয় করার পর থেকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি মিঠু মুখার্জ্জীকে। এরপর থেকে একের পর এক হিট ছবিতে অভিনয় করে গিয়েছেন তিনি। স্ক্রিন শেয়ার করেছেন উত্তম কুমার থেকে শুরু করে উৎপল দত্ত, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, রঞ্জিত মল্লিক, সৌমিত্র চ্যাটার্জীর মতো তাবড় তাবড় নামি প্রথম সারির তারকাদের সাথে। ‘স্বয়ংসিদ্ধা’, ‘মৌচাক’ তার অভিনীত অন্যতম দুই হিট ছবি। আজও যা পুরনো হয়নি দর্শকদের মাঝে।

Advertisement

Advertisement
Advertisement

তবে টলিউড থেকে বলিউডে পা রাখতে খুব বেশি সময় নেননি তিনি। ১৯৭৬’এই ‘খান দোস্ত’ নামের একটি ছবি দিয়ে হিন্দি ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন তিনি। তবে বলিউডের প্রথম ছবিতেই মুখ্য চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেলেও, সেভাবে দর্শকমহলে সারা ফেলতে পারেননি অভিনেত্রী। আর সেই কারণবশতই এর পরের বেশ কিছু ছবিতে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করতে হয়েছিল মিঠু মুখার্জ্জীকে। পার্শ্ব চরিত্র হিসেবেই দর্শকদের বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন, তা বলাই বাহুল্য। বলিউডের ‘দিললাগি’, ‘সাফেদ ঝুট’এর মতো ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রেই দেখা মিলেছিল তার।

তবে হিন্দি ইন্ডাস্ট্রিতে সেভাবে নিজের জায়গা বানাতে পারেননি টলিউডের এই অভিনেত্রী। এরপর তিনি আবারো ফিরে আসেন বাংলায়। ইন্ডাস্ট্রিতে ফিরেই চন্দ্রা বারোট পরিচালিত আশ্রিতা ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যায় মিঠু মুখার্জ্জীকে। তবে এই ছবিতে অভিনয় করার পর আর বড়পর্দায় দেখা মেলেনি তার। মাত্র ৩৫ বছর বয়সেই নিজের অভিনয় জীবনে ইতি টানেন তিনি। হারিয়ে যান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে। পরে অবশ্য ‘আশ্রিতা’র পরিচালক চন্দ্রা বারোটের সাথে সাত পাক ঘুরে মুম্বাইতেই সুখের সংসার পেতেছিলেন অভিনেত্রী।

Advertisement

Related Articles

Back to top button