আগামীকাল অর্থাৎ রবিবার শেষ হচ্ছে চতুর্থ দফার লকডাউন। দীর্ঘদিন লকডাউনের জেরে দেশের অর্থনীতি একেবারে ধুঁকতে বসেছে। তবে এই বার অর্থাৎ ১ লা জুন থেকে কনটেনমেন্ট জোন বাদে বাকি এলাকাগুলিতে লকডাউন আরও শিথিল করার দিকে হাঁটছে দেশের একাধিক রাজ্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লকডাউন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবার জন্য গতকাল বৈঠকে বসেছিলেন। এই বৈঠকে কি কি বলা হয়েছে তা শনিবার জানা যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে ইংরেজি সংবাদপত্র দ্য ইকনমিক টাইমসে একটি কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা বা গাইডলাইন প্রকাশিত হয়েছে। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী ১ জুন থেকে দেশের ১৩ টি শহর বাদে অন্য জায়গাতে মল, রেস্তোরাঁ, হোটেল সব খুলতে চলেছে। যে ১৩ টি শহর বাদ রাখা হয়েছে, সেগুলি হল- দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা,হাওড়া, জয়পুর,আহমেদাবাদ, থানে, পুনে, হায়দরাবাদ, ইন্দোর, যোধপুর, চেন্নাই, চেঙ্গালপাত্তু এবং তিরুভাল্লুর। কেন্দ্রীয় সূত্র অনুযায়ী, দেশের মোট করোনা আক্রান্তের প্রায় ৭০% এই ১৩টি শহর থেকেই রয়েছে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowরবিবার সকালে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী লকডাউনের পরবর্তী দিক সম্পর্কে আলোচনা করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। আগামীকাল হয়তো ১ জুন থেকে পরবর্তী নির্দেশিকা জারি করতে পারে। তবে রাজ্যগুলির কাছে শনিবার নির্দেশিকা আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৮ জুন থেকে সব কর্মী নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা খোলার অনুমতি দিয়েছেন। এর পাশাপাশি ১ জুন থেকে সমস্ত ধর্মীয় স্থান খুলে যাবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। কিন্তু কেন্দ্রের নির্দেশের দিকে আপাতত তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশ।