করোনাভাইরাস এর দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে ভারতে। এই মুহূর্তে ভারতের দৈনিক সংক্রমণ মোটামুটি ৪ লক্ষের কাছাকাছি। বর্তমান পরিস্থিতিতে একেবারে ভেঙ্গে পড়েছে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। ভারতের এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের সমস্ত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বেশ চিন্তিত। এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের চিন্তা এখন একটাই কিভাবে এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
তা নিয়ে বেশ কিছু পরামর্শ দিলেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তার অ্যান্থনি ফৌচি। তিনি বললেন, ভারতের ক্ষেত্রে একমাত্র সংক্রমণ কমানোর উপায় হল লকডাউন। লকডাউন যদি হয়ে যায় তাহলে সবকিছু মোটামুটি বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকবে, অন্তত তিন থেকে চার সপ্তাহ লকডাউন চালানোর প্রয়োজন। তার মধ্যে সমস্ত মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে হবে। তাহলেই সংক্রমনের চেইন ভেঙে যাবে এবং আস্তে আস্তে সমস্ত পরিষেবা আবার ঠিক হতে পারে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowগত ১৬ মাসে আমরা অনেক কিছু শিখেছি, আমরা জেনেছি অর্থনৈতিক ব্যবস্থার লকডাউন এর ফলে একেবারে মুখ থুবড়ে পড়তে পারে। কিন্তু যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য লকডাউন চলে তাহলে এই সমস্যাটা হয়, যদি খুব কম সময়ের জন্য লকডাউন খেলা হয় তাহলে হয়তো অর্থনীতির তেমন একটা সমস্যা হবে না। আমরা নিজেরাও দেখেছি অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হওয়ার পরেও ঘুরে দাঁড়াতে। তবে এখন যেটা সবথেকে বেশি প্রয়োজন সেটা হল টিকাকরণ।
দিল্লিতে বর্তমানে ব্রিটিশ স্ট্রেন ছড়াচ্ছে এবং মহারাষ্ট্রে ভারতের নতুন স্ট্রেইন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়ে দিয়েছে এই তৃতীয় ঢেউ কিন্তু আরো বেশি ভয়ানক প্রথম ঢেউয়ের থেকে। আক্রান্তদের অক্সিজেন প্রয়োজন অনেক বেশি হবে। তাই গোটা বিশ্বকে একত্রিত থাকতে হবে। সবাই সবার প্রয়োজনে সাহায্য করবেন। রাজনৈতিক বিভেদ হতে দেওয়া যাবে। এই ভাইরাসটি কাউকে রেয়াৎ করে না। তাই আমাদের নিজেদের সর্বশক্তি দিয়ে মোকাবিলা করতে হবে।