শীতে মৌসুমে শরীরের পুষ্টির প্রয়োজন অনেক বেশি। শীতের এই মৌসুমে বিভিন্ন ধরনের রঙিন ফল এবং অনেক সবজি পাওয়া যায়। কিছু কিছু ফল আছে যারা সারা বছর পাওয়া যায় কিন্তু গরম প্রকৃতির কারণে শীতকালে বেশি খাওয়া হয় এই ধরনের ফল। এরকম একটি ফল হল ডুমুর। গ্রামে গঞ্জে গেলে এখনো এই ফলটিকে দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু শহরে কংক্রিট জীবনে ডুমুর খুব একটা পাওয়া যায় না বললেই চলে। কিন্তু ডুমুর হল এমন একটি ফল যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অগণিত উপহার নিয়ে আসে। আজ আমরা ডুমুরের ব্যাপারে আপনাকে এমন কিছু জানাতে চলেছি যা দেখলে আপনিও অবাক হয়ে যাবেন। যারা খুবই রোগা, এবং যাদের মাংসপেশী বিকশিত নয়, তারা কিন্তু এই ফলটি খেয়ে খুব সহজেই মাসলগেইন করতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে শীতকালে ডুমুরের পুষ্টিগুণ গ্রহণ করবেন।
ডুমুরের পুষ্টিগুণ শীতকালে গ্রহণ করার জন্য আপনাকে একটা নির্দিষ্ট পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। এই ফলটিতে কিন্তু প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, সেলুলোজ, খনিজ পদার্থ পাওয়া যায়। এছাড়াও আয়রন সোডিয়াম পটাশিয়াম সালফার ফসফরিক অ্যাসিড আপনারা পাবেন এই ফল থেকে। এই ফল আপনাকে সর্দি কাশি থেকে দারুণ উপশম দিতে পারে। আপনার অনেক ক্ষমতা শক্তি অর্থাৎ ইমিউনিটিকে বুস্ট করতে পারে এই ডুমুর। তাই অনেকেই শীতের ঋতুতে এই ডুমুর খেয়ে থাকেন। জ্বর এবং পেটের সমস্যা হলে আপনি সহজেই ডুমুরের মাধ্যমে আপনার শরীরের সমস্যা সমাধান করতে পারবেন। আপনার যদি কোন রোগের পর শরীর দুর্বল হয়ে থাকে তাহলে আপনি এই ডুমুর খেতে পারেন। তবে সব ডুমুরে কিন্তু কাজ হয় না। কাঁচা ডুমুর খেলে খুব একটা বেশি লাভ পাওয়া যায় না। বরং আপনাকে খেতে হবে পাকা ডুমুর। যদি আপনি মৌরি দিয়ে পাকা ডুমুর চিবিয়ে খান তাহলে আপনি শারীরিক দুর্বলতা থেকে মুক্তি পাবেন।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowএর পাশাপাশি ডুমুরের মধ্যে আরো বেশ কিছু গুনাগুন রয়েছে। যদি আপনি ডুমুর দুধে সেদ্ধ করে সেই দুধ পান করেন তাহলে শরীরের শক্তি আসে। পাকা ডুমুর খেতে খুবই সুস্বাদু। সকালে যদি আপনি খালি পেটে ডুমুর খান তাহলে পেটের চর্বি দ্রুত গলে যাবে। এর পাশাপাশি ডুমুরে পাওয়া প্রিবায়োটিক বৈশিষ্ট্য গুলি পাকস্থলীর ব্যাকটেরিয়াকে আরো বেশি পুষ্ট করে। আপনার পেট সুস্থ রাখতে পারে এই ডুমুর। ডুমুরের পলিফেনাল হলো একটা প্রতিরক্ষামূলক যৌগ। ডুমুরের মধ্যে বেশ কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা কোষকে সমস্ত রকম ক্ষতিকর উপাদান থেকে রক্ষা করে।