মহিলাদের আর্থিক স্বনির্ভরতা বাড়াতে এবং হাত খরচের সুবিধা দিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার শুরু করেছিল ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ (Lakshmir Bhandar) প্রকল্প। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন। জনপ্রিয় এই প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের মহিলারা মাসে ৫০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত আর্থিক অনুদান পেয়ে থাকেন। এবার এই প্রকল্পে আনা হচ্ছে একাধিক সুরক্ষা বিধি ও নতুন নিয়ম।
মূলত কী পরিবর্তন আসছে এই প্রকল্পে?
অর্থ দপ্তরের নির্দেশে জানানো হয়েছে, এখন থেকে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-সহ অন্যান্য সরকারি অনুদান প্রকল্পে অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সাইবার নিরাপত্তা বিধি মেনে চলতে হবে। এর পাশাপাশি উপভোক্তার তথ্য যাচাই হবে NPCI-র মাধ্যমে। অর্থাৎ, National Payments Corporation of India-এর প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট যাচাই করা হবে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join NowDBT পদ্ধতিতে কড়াকড়ি
Direct Benefit Transfer বা DBT-এর মাধ্যমে উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানো হয়। এই পদ্ধতিকে আরও সুরক্ষিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর অন্তত দু’বার নথিভুক্ত করতে হবে। অর্থাৎ, আবেদনপত্রে ভুল থাকলে তা আগে থেকেই ধরা পড়বে।
১৬ দফা করণীয় ঠিক করল অর্থ দপ্তর
জানা গিয়েছে, সবমিলিয়ে ১৬ দফা নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্যের অর্থ দপ্তর। কোন দপ্তরের কোন আধিকারিক তথ্য অনুমোদন করছেন, তা নির্দিষ্টভাবে লিপিবদ্ধ করতে হবে। এছাড়াও কে কোন স্তরে দায়িত্বে রয়েছেন, সেটাও চিহ্নিত করতে হবে।
আবেদন ও যাচাইয়ের প্রক্রিয়া
যারা অনলাইনে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন করবেন, তাঁদের পুরো প্রক্রিয়াটি অনলাইনেই সম্পন্ন হবে। অফলাইন আবেদনকারীদের ক্ষেত্রেও তথ্য যাচাই প্রক্রিয়া হবে নির্ধারিত নিয়মে। সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ বলে জানানো হয়েছে সরকারি সূত্রে।
পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর:
১. লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে কারা আবেদন করতে পারেন?
– পশ্চিমবঙ্গের ২৫-৬০ বছর বয়সী সব মহিলারা নির্দিষ্ট শর্ত মেনে এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারেন।
২. সাধারণ মহিলা ও তপশিলি জাতির জন্য ভাতা কত?
– সাধারণ মহিলাদের জন্য ₹১০০০ এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য ₹১২০০ নির্ধারিত।
৩. নতুন নিয়মে কোন বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে?
– ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট যাচাই, তথ্যের নির্ভুলতা, এবং সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
৪. তথ্য যাচাই কোথা থেকে করা হবে?
– রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আওতাধীন NPCI-এর মাধ্যমে তথ্য যাচাই হবে।
৫. কীভাবে টাকা পাঠানো হবে?
– শুধুমাত্র DBT পদ্ধতিতে, অর্থাৎ সরাসরি উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।