রাজ্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক প্রকল্প ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর ভাতায় এবার বড়সড় পরিবর্তন আসতে চলেছে বলে জল্পনা ছড়িয়েছে। বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে, অগস্ট মাস থেকেই ভাতা বাড়তে পারে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। যদিও এখনও পর্যন্ত সরকারি তরফে এই বিষয়ে কোনও সরকারি ঘোষণা আসেনি।
বর্তমানে রাজ্যের ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী মহিলারা এই প্রকল্পের আওতায় ভাতা পেয়ে থাকেন। সাধারণ (General) জাতিভুক্ত মহিলারা মাসে ১০০০ টাকা ও তপশিলি (SC/ST) জাতির মহিলারা ১২০০ টাকা করে পান। এই অনুদান তাঁদের দৈনন্দিন জীবনে কিছুটা স্বস্তি এনে দেয়।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowতবে সাম্প্রতিক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ও বিভিন্ন মহিলা সংগঠনের তরফে দাবি করা হচ্ছে, অগস্ট মাস থেকে এই ভাতা বৃদ্ধি পাবে। সম্ভাব্য হারে, সাধারণ জাতির মহিলারা পাবেন মাসে ১৫০০ টাকা ও তপশিলি জাতির মহিলারা পাবেন ১৮০০ টাকা করে।
রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার গঠনের পর থেকেই একাধিক জনমুখী প্রকল্প চালু হয়েছে। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা, যুবশ্রী— প্রতিটি প্রকল্পে রাজ্যের বহু মানুষ উপকৃত হয়েছেন। তবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সবচেয়ে জনপ্রিয় ও ব্যাপক প্রভাব বিস্তারকারী প্রকল্পগুলির একটি।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের প্রায় এক কোটিরও বেশি মহিলা সরাসরি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাই এই ভাতা বৃদ্ধি হলে মহিলাদের আর্থিক স্বচ্ছলতায় আরও জোর দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
তবে প্রশ্ন হল, এই ভাতা বৃদ্ধি আদৌ হবে কি? সরকার কবে এই ঘোষণা করবে? এই নিয়ে জল্পনা চললেও, রাজ্য সরকারের তরফে এখনো পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি।
তবে মহিলাদের একাংশ আশাবাদী, আগামী মাস থেকেই ভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা আসবে এবং সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে বাড়তি টাকা।
সাধারণ প্রশ্নোত্তর (FAQ)
১. বর্তমানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে কত টাকা ভাতা দেওয়া হয়?
সাধারণ জাতির মহিলারা মাসে ১০০০ টাকা ও তপশিলি জাতির মহিলারা ১২০০ টাকা পান।
২. কবে থেকে ভাতা বৃদ্ধি হতে পারে বলে জল্পনা চলছে?
সোশ্যাল মিডিয়া সূত্রে জানা যাচ্ছে, অগস্ট মাস থেকেই ভাতা বাড়তে পারে।
৩. নতুন হারে কত টাকা ভাতা মিলতে পারে?
সাধারণ জাতির মহিলারা ১৫০০ টাকা ও তপশিলি জাতির মহিলারা ১৮০০ টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন।
৪. সরকারিভাবে এখনও কোনও ঘোষণা হয়েছে কি?
না, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনও সরকারি ঘোষণা আসেনি।
৫. কারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য উপযুক্ত?
২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী রাজ্যের সমস্ত বিবাহিত মহিলারা, যাঁরা রোজগেরে নন, এই প্রকল্পের আওতায় আসেন।