আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজ্যবাসীর নজর এখন প্রশাসনের প্রতি। এর মধ্যেই ফের আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প। সূত্রের খবর, এই প্রকল্পের আওতায় আর্থিক সহায়তার পরিমাণ বাড়ানো হতে পারে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ইতিমধ্যেই রাজ্যের মহিলাদের মধ্যে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায়। এবার সেই প্রকল্পে বাড়তি ভাতা দেওয়া হতে পারে, এমন ইঙ্গিত মিলেছে প্রশাসনের অন্দরে।
বর্তমানে কী সুবিধা মিলছে?
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowএই প্রকল্পের অধীনে সাধারণ শ্রেণির মহিলারা প্রতি মাসে ১,০০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলারা পান ১,৫০০ টাকা। তবে নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, সাধারণ শ্রেণির ভাতা বেড়ে হতে পারে ১,৫০০ টাকা এবং তপশিলিদের জন্য সেটি ২,০০০ টাকায় পৌঁছতে পারে।
কেন এই সিদ্ধান্তের পথে সরকার?
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধির ভাবনা মূলত ২০২৬ সালের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার আগে থেকেই শাসক দলের ভোটব্যাংকে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করা হয়। বিশেষ করে, গ্রামীণ মহিলা ভোটারদের বড় অংশ এই প্রকল্পের সুফলভোগী। তাই ভাতা বাড়ানো হলে, তা নির্বাচনী লাভে পরিণত হতে পারে বলে অনুমান।
তবে নিশ্চিত ঘোষণা এখনও হয়নি
এই বাড়তি ভাতা নিয়ে সরকার এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু ঘোষণা করেনি। অর্থাৎ, বিষয়টি বর্তমানে প্রস্তাবনার স্তরেই রয়েছে। তবে প্রশাসনের একাংশের মতে, বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনাও শুরু হয়েছে।
প্রকল্পের প্রভাব
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকেই রাজ্যে মহিলাদের আর্থিক স্বনির্ভরতা ও স্বাবলম্বিতার দিকটি আরও জোরদার হয়েছে। একাধিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে, পরিবারের খরচের একটি অংশ এই অর্থ থেকেই সামলাচ্ছেন বহু মহিলা। তাই ভাতা বাড়ানো হলে, তা শুধু রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নয়, সামাজিকভাবে ফলপ্রসূ বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তথ্যভিত্তিক ৫টি প্রশ্ন:
১. লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প কাদের জন্য চালু করা হয়েছে?
→ রাজ্যের ২৫-৬০ বছর বয়সী মহিলাদের আর্থিক সহায়তার জন্য এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে।
২. বর্তমান ভাতার পরিমাণ কত?
→ সাধারণ শ্রেণির মহিলারা পান ১,০০০ টাকা এবং তপশিলিদের জন্য ভাতা ১,৫০০ টাকা।
৩. কত টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে ভাতা?
→ সাধারণ শ্রেণির জন্য ১,৫০০ টাকা এবং তপশিলিদের জন্য ২,০০০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে।
৪. সরকার কি এই বিষয়ে কোনও চূড়ান্ত ঘোষণা করেছে?
→ না, এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি ঘোষণা করা হয়নি। আলোচনা চলছে।
৫. এই প্রকল্পে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হচ্ছেন কারা?
→ বিশেষত গ্রামীণ এলাকার মহিলারা এই প্রকল্প থেকে সবথেকে বেশি সুবিধা পাচ্ছেন।