রাজ্যে মহিলাদের আর্থিক সহায়তার জন্য একাধিক প্রকল্প চালু করেছে বর্তমান রাজ্য সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সামাজিক সুরক্ষায় বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী-সহ নানা প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় প্রকল্প হয়ে উঠেছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। এই প্রকল্পের অধীনে ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মাসে মাসে টাকা পাঠানো হয়।
এখনও পর্যন্ত, সাধারণ জাতির মহিলারা প্রতি মাসে ১,০০০ টাকা করে এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলারা ১,২০০ টাকা করে ভাতা পেয়ে আসছেন। তবে সাম্প্রতিক জল্পনায় নতুন আলোড়ন—এই ভাতা বাড়তে পারে প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। পুজোর আগেই এই আর্থিক সহায়তা বাড়ানোর ভাবনা রয়েছে বলে প্রশাসনিক মহলে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowবিশেষজ্ঞ মহলের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বহু বার প্রকাশ্যে বলা মন্তব্য— “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার মহিলাদের সম্মানের প্রতীক”—এর ভিত্তিতে আন্দাজ করা যাচ্ছে, এই প্রকল্পে আরও কিছু আর্থিক সুবিধা যোগ করা হতে পারে। অগস্ট মাস থেকেই সাধারণ জাতির মহিলারা ১,৫০০ টাকা এবং তপশিলি মহিলারা ১,৮০০ টাকা করে পেতে পারেন বলে ধারণা।
তবে এই বিষয়ে সরকারিভাবে এখনও কোনও ঘোষণা আসেনি। ফলে এই মুহূর্তে এটি একটি সম্ভাব্য সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রশাসনিক স্তরে পরিকল্পনার কথা শোনা গেলেও, চূড়ান্ত ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
এমন পরিস্থিতিতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উঠছে সাধারণ মানুষের মনে:
১. লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পটি কী?
এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী রাজ্যের মহিলারা মাসিক নির্দিষ্ট ভাতা পান। এটি মূলত রাজ্য সরকারের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির অংশ।
২. বর্তমানে কত টাকা ভাতা পাওয়া যায়?
সাধারণ জাতির মহিলারা প্রতি মাসে ১,০০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি/উপজাতির মহিলারা ১,২০০ টাকা পান।
৩. কী পরিমাণ টাকা বাড়তে পারে?
সূত্র অনুযায়ী, সাধারণ মহিলাদের জন্য ৫০০ টাকা এবং তপশিলিদের জন্য ৬০০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে।
৪. কবে থেকে কার্যকর হতে পারে এই নতুন হার?
সম্ভাবনা রয়েছে যে, অগস্ট মাস থেকেই এই নতুন হার কার্যকর হতে পারে। তবে সরকারিভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
৫. সরকার কি এই ভাতা বৃদ্ধির কথা নিশ্চিত করেছে?
না, এখন পর্যন্ত রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনও সরকারি ঘোষণা আসেনি। সবটাই আলোচনা এবং জল্পনার পর্যায়ে রয়েছে। মহিলাদের আর্থিক স্বনির্ভরতা বৃদ্ধিতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই প্রকল্পের আর্থিক অঙ্ক বৃদ্ধি পেলে উপকৃত হবেন লক্ষ লক্ষ গৃহবধূ ও নিম্নআয়ের মহিলারা। পুজোর আগে এই সুখবর সত্যি হলে, তা নিঃসন্দেহে অনেকের মুখে হাসি ফোটাবে।