লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প এখন বাংলার নারীদের কাছে এক অপরিহার্য উদ্যোগ। প্রতি মাসে ১,০০০ থেকে ১,২০০ টাকা পেয়ে তাঁরা আর্থিকভাবে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছেন। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে, এই ভাতার পরিমাণ বাড়তে পারে কিনা, তা নিয়ে অনেকেই আশাবাদী। ঠিক এমন সময়ে, বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতার সন্দেশখালি সফর ও প্রশাসনিক সভা
২৬ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সন্দেশখালি সফরের ঘোষণা করেন। সময়সূচী অনুযায়ী, ৩০ ডিসেম্বর উত্তর ২৪ পরগনার ঋষি অরবিন্দ মিশন মাঠে একটি প্রশাসনিক সভা ও পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowএই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী জনতার উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের সমালোচনাও করেন। নারীদের উদ্দেশ্যে তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেন—“দুষ্টু লোকদের থেকে দূরে থাকুন।” তিনি বিশেষ করে অল্পবয়সী মেয়েদের অপরিচিতদের বিশ্বাস না করার পরামর্শ দেন।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প ও নারীদের স্বার্থ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন নারীদের আশ্বস্ত করেন যে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প তাঁদের জন্য চিরস্থায়ী। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “তোমরা যতদিন বেঁচে থাকবে, ততদিন এই ভাতা পাবে। এটি তোমাদের অধিকার, এবং এ অধিকার কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।”
স্বাস্থ্য সাথী ও আবাস যোজনা প্রকল্প
তিনি আরও উল্লেখ করেন তাঁর সরকারের অন্যান্য উদ্যোগ, যেমন **স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প**, যা নারীদের জন্য উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে। পাশাপাশি, তিনি **আবাস যোজনা প্রকল্পের** সাফল্যের কথাও তুলে ধরেন। মমতা জানান, কেন্দ্রের আর্থিক সহায়তা ছাড়াই, রাজ্যের তহবিল ব্যবহার করে ইতিমধ্যেই ৪৭ লক্ষ বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে।
সন্দেশখালির জনগণের জন্য প্রতিশ্রুতি
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সন্দেশখালির জনগণকে আর্থিক সহায়তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। রাজ্য সরকার সব সময় তাঁদের পাশে রয়েছে।
নারীদের প্রতি মমতার বার্তা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নারীদের প্রতি তাঁর সমর্থন জোরালো করেন এবং প্রতিশ্রুতি দেন যে তাঁর সরকার তাঁদের কল্যাণে কাজ চালিয়ে যাবে। তিনি বলেন, “আমি সর্বদা তোমাদের পাশে আছি এবং তোমাদের স্বার্থে কাজ করে যাব।”
পরিশেষে
মমতার এই ঘোষণা ও উদ্যোগ নারীদের জীবনকে আরও সহজ ও স্বাবলম্বী করে তুলতে ভূমিকা রাখছে। সন্দেশখালির সভা থেকে তিনি রাজ্যের নারীদের প্রতি তাঁর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং সরকারের সাফল্য তুলে ধরেছেন।