Lakhpati Didi: কারা লাখপতি দিদি যোজনার সুবিধা নিতে পারবেন এবং কত টাকা দেওয়া হয়, জেনে নিন

পয়লা ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে ভারতের সাধারণ অর্থ বাজেট পেশ করে ফেললেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এটি দেশের অন্তর্বর্তী বাজেট হতে চলেছে মে মাস পর্যন্ত। এটাই মোদি সরকারের বর্তমান মেয়াদের শেষ অন্তর্বর্তী বাজেট। এই অন্তর্বর্তী বাজেটে নারীদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছেন নির্মলা সীতারামন। অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বললেন, এবারে লক্ষ-পতি দিদি নামের একটি নতুন যোজনা শুরু করা হবে এবং এই যোজনাকে আরো সাফল্যমণ্ডিত করতে চেষ্টা করবে ভারত সরকার। তিনি জানালেন, এখনো পর্যন্ত প্রায় এক কোটি মহিলারা লক্ষ-পতি দিদি হয়ে উঠেছেন। প্রথমে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছিল ২ লক্ষ মহিলাকে টার্গেট করে। এবারে এই প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে ৩ কোটি

অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, তার সরকার সম্পূর্ণভাবে মহিলাদের বিকাশের কথা চিন্তা করে। লক্ষ্যপতি দিদি প্রকল্পটি এরকমই একটি প্রকল্প যেখানে সরকার মহিলাদের জীবন আরও ভালো করতে চলেছে এবং তাদের মধ্যে আত্মনির্ভরতা নিয়ে আসতে চলেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদের মধ্যে স্বনির্ভরতা কে অগ্রগতি দেওয়া হয়। দেশে এখনো পর্যন্ত প্রায় ৮৩ লক্ষ মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। প্রায় নয় কোটি মহিলা এই স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে যুক্ত যারা সাবলম্বী হয়েছেন। এই স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে যুক্ত মহিলাদের আয় বাড়াতেই এবারে লক্ষ-পতি দিদি যোজনা শুরু করেছে সরকার। এই দুজনা হল সেই সমস্ত মহিলাদের জন্যই যাদের পারিবারিক বার্ষিক আয় কমপক্ষে এক লক্ষ টাকা। এটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি উচ্চ বিলাসী পরিকল্পনা এবং দেশের ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবসের লালকেল্লার প্রাচীর থেকে এই পরিকল্পনার ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এই প্রকল্পে অনেক ধরনের সুবিধা প্রদান করা হয় এবং আর্থিক দক্ষতা প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এই প্রকল্পটি মহিলাদের আয় বাড়াতে সাহায্য করে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলারা কোটিপতি হয়ে উঠতে পারেন। এই প্রকল্পের অধীনে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির আয় বাড়ানো হয় এবং তাদের এলইডি বাল্ব তৈরি থেকে শুরু করে ড্রোন মেরামত, প্লাম্বিং এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত কাজ শেখানো হয়। নারীদের আর্থিক বোঝাপড়া বাড়াতে কর্মশালা করা হয়। সঞ্চয়ের বিকল্প ছোট ঋণ বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ উদ্যোক্তা সহায়তা এবং বীমা কভারেজ এর সুবিধা পাওয়া যায় এই প্রকল্পে। এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে হলে মহিলাদের অবশ্যই একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর অংশ হতে হয়।